বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, কোনো ফ্যাসিস্ট ও তার দোসরদের পক্ষ অবলম্বনকারী কোনো উপদেষ্টা থেকে থাকে, তাহলে তাদের সেখান থেকে বিদায় দিতে হবে। তা না হলে জুলাই বিপ্লব ক্ষত-বিক্ষত হবে এবং প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
শনিবার (১০ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াত কার্যালয়ের সামনে থেকে আনন্দ মিছিল বের হয় এবং আনন্দ মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শান্তিমেোড়ে এসে শেষ হয়। এই সময় প্রধান অতিথির সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার চাইলে অনেক আগেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু কোনো অজানা কারণে সরকার তা করে নাই। সেটি আমাদের কাছে পরিষ্কার। সরকারের মধ্যেই লুকিয়ে আছে ফ্যাসিস্টদের দোসর।
বুলবুল বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ একটি জুলুমবাজ দলে পরিণীত হয়েছিল এবং জুলুমকারী হিসেবে জনগণের সামনে আবির্ভূত হয়েছিল। এই আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকারকে নষ্ট করেছে, রাষ্ট্র শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জামায়াতের আমির থেকে শুরু করে ১১ জন নেতাকে বিচারিক হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দুনিয়া থেকে শেষ করে দিয়েছে। নেতাকর্মীদের কারাগারে আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছিল আওয়ামী লীগ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের উপর নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার চালিয়েছিল।
বুলবুল আরও বলেন, একটি রাজনৈতিক দল জুলাই আন্দোলনে তাদের কোনো ভূমিকা নেই ঘোষণা দিয়েছিল। তারপরে আবার তাদের নেতাই মাস্টার মাইন্ড সেই ঘোষণাও দিয়েছে। আর ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারাই এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অন্যকেউ নেতৃত্ব দেন নাই। জুলাই আন্দোলনে যারা সিপাহসালার এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা জাতীয় নেতা, তাদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ওই দল (বিএনপি) পদক্ষেপ নিয়েছে। জুলাই আন্দোলনের সাধারণ আন্দোলন ঘোষণা দিয়ে তারা (বিএনপি) প্রতারণার পথ বেছে নিয়েছে। এছাড়া সেই রাজনৈতিক দল প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের বিষয়ে একমত পোষণ করেনি। তারা আওয়ামী লীগের বিচারের বাইরে একমত পোষণ করেনি। আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য তারা ঐকমত্য পোষণ করেনি। ছাত্ররা দাবি জানিয়েছিল, আগস্ট বিপ্লবের সনদে স্বাক্ষর করতে হবে, সেই স্বাক্ষরও তারা করতে রাজি হয়নি। এই দেশের ছাত্র-জনতা সংস্কার চাই, তারপরে নির্বাচন চাই, কিন্তু ওই দল সংস্কার চাই না, তারা যেনতেনভাবে আবার ক্ষমতায় যেতে চায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবু জার গিফারী, সেক্রেটারি আবু বক্কর, পৌর আমির হাফেজ গোলাম রাব্বানী, উপজেলা আমির হাফেজ আব্দুল আলীম প্রমুখ।
আরআর