গ্রামের মানুষ এখন ভোটের সিল মারাই ভুলে গেছে : খায়ের ভুঁইয়া

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া বলেছেন, ১৭ বছর মানুষ ভোট দেয়নি। এতে কোন জায়গায় সিল মারতে হয় মানুষ তা ভুলে গেছে। গ্রামগঞ্জের মানুষ ভোট মারার সিস্টেমই ভুলে গেছে। কাকে ভোট দেবে, কোন জায়গায় দেবে সেটি তারা ভুলে গেছে।

শনিবার (১০ মে) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরপাতা মজিবুল হক একডিমেতে ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে নেতা নির্বাচনে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন বিএনপির সদস্যরা।

তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে ৩১ দফা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মূল প্রতিবন্ধকতা ছিল দেশের নির্বাচিত কোনো জনপ্রতিনিধি ছিল না। ৩১ দফার অন্যতম হচ্ছে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনা, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা। বিএনপি সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করে। এজন্য ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রত্যক্ষ ভোটে নেতা নির্বাচন করা হচ্ছে।

আবুল খায়ের ভুঁইয়া বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দীর্ঘমেয়াদের জন্য নয়। তত্ত্ববধায়ক সরকার সুনির্দিষ্ট একটা সময়। তবে আমাদের সংবিধানে আছে তিন মাস। ড. মুহাম্মদ ইউনুস যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে সেটি হবে আমাদের জন্য ব্যর্থ। আবার স্বৈরশাসকের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ইউনুস সাহেবের সরকারকে আমরা বলেছি, যে সমস্ত সংস্কার করে অতিদ্রুত সময়ে নির্বাচন করা যায়, সে সমস্ত সংস্কার করে দ্রুত সময়ে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তত্ত্ববধায়ক সরকার বিদায় নেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ কিশোরগঞ্জ থেকে এসে ঢাকা বিমানবন্দর দিয়ে পালিয়েছে। এজন্য কিশোরগঞ্জের এসপিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি পালিয়ে যায়, তত্ত্ববধায়ক সরকার আছে, কিন্তু তারা জানে না। এর আগে বলেছে, তাদের কাছে ৬৩০ জনের মতো আশ্রয় চাইছে। তাদেরকেও এখন খুঁজে পাওয়া যায় না। কাউকে ইংল্যান্ডে, কাউকে কলকাতায় ও কাউকে আমেরিকায় দেখা যায়। তারা বাংলাদেশের বর্ডার কীভাবে ক্রস করলো? এরমধ্যে আওয়ামী লীগের বিগত স্বৈরাচারের দোসররা জড়িত রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ ব্যাপারী, রায়পুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেডএম নাজমু ইসলাম মিঠু, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন, রায়পুর উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, এমরান হোসেন প্রমুখ।

আরআর 

Share this news on: