আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আসন্ন বৈশ্বিক আসরকে সামনে রেখে এখন থেকেই ২০ ওভারের ক্রিকেটে বিশেষ নজর বাংলাদেশ ক্রিকেটের। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পরিবর্তে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার প্রস্তুতি ছিল টাইগারদের। যদিও ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনা সেই সিরিজ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করে।
ওই সিরিজের আগেই দুবাইতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে লিটন দাসের দল। সেই সিরিজ টিকে গেলেও, পাকিস্তান সিরিজ হওয়া নিয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এখনই যে পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ হচ্ছে না সেটা অনেকটা নিশ্চিত, সেক্ষেত্রে দুবাই হতে পারে তার বিকল্প। যদিও বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছেন, এখনও পিসিবি এ নিয়ে কিছু জানায়নি।
গতকাল আসন্ন দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেখানে বলা হয়, ‘পিসিবির সঙ্গে বিসিবির আলোচনা জোরালোভাবে চলছে। বিসিবি আবারও বলতে চায়, খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফদের নিরাপত্তা বোর্ডের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সফর সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, যাতে সেই সিদ্ধান্ত দল ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোত্তম স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
বিসিবি আরও জানায়, ‘ইন্টারন্যাশনাল এঙ্গেজমেন্ট ও প্রস্তুতির প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ দল আরব আমিরাত সফরে যাবে।’ এদিকে, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সিরিজ আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর সূচির (এফটিপি) আওতাধীন। যার অধীনে বিভিন্ন দল পরস্পর হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজ খেলে। এখন পাকিস্তান হোম সিরিজ দেশের বাইরে আয়োজন করবে কি না সেটা তাদের ওপরই নির্ভর করছে।
অন্যদিকে, আরব আমিরাত সফরের সূচি অনুযায়ী, সিরিজের প্রথম ম্যাচ ১৭ মে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ১৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। দুটি ম্যাচের ভেন্যু শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এরপর ২৫ মে থেকে শুরুর কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ। কিন্তু পিএসএল স্থগিত হওয়ায় সেই সিরিজের সময়টা টুর্নামেন্টটির মাঝে পড়ে যাচ্ছে। পূর্ব-নির্ধারিত সূচি অনুসারে পিএসএলের ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল ১৮ মে। কিন্তু অদ্ভুত পরিস্থিতিতে সেটি আর সম্ভব নয়।
এসএন