গেল সপ্তাহেই দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে জায়গা করে কানাডিয়ান লিগের সপ্তাহের সেরা একাদশে। সামিত সোমের ম্যাজিকটা চলল আরও একটা সপ্তাহ। মৌসুমের শুরু থেকেই খানিক ধুঁকতে থাকা ক্যাভালরি এফসি ধীরে ধীরে কক্ষপথে ফিরছে দারুণভাবে। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে লিগে। আর তাতে রীতিমত পাপেট মাস্টারের ভূমিকায় ছিলেন বাংলাদেশের সামিত সোম।
প্রতিপক্ষ হ্যালিফিক্স ওয়ান্ডারার্স এফসি লিগে আছে দ্বিতীয় স্থানে। সেই দলটিকেই মাটিতে নামালো সামিতের ক্যাভালরি এফসি। ৩-০ গোলের জয় পেয়েছে ক্যাভালরি। সামিত গোল না পেলেও করেছেন গোলে সহায়তা। তবে মাঝমাঠে নিজের কার্যকরারিতা প্রমাণ করেছেন দারুণভাবে।
ম্যাচে সামিতের অ্যাসিস্ট এসেছে ৮৪ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে অনেকটা একাই এগিয়ে গিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে। শেষ সময়ে নিখুঁত পাস দেন সতীর্থ আলি মুসির পায়ে। সোমালিয়ান এই স্ট্রাইকার পুরো ম্যাচেই ছিলেন দুর্দান্ত। ফিনিশিংটাও করেছেন সামিতের পাস থেকে। ম্যাচে সেটা ছিল ক্যাভালরির শেষ গোল।
এর আগে টোবিয়াস ওয়ারচেস্কির ম্যাচের প্রথমার্ধেই পেনাল্টি থেকে এগিয়ে দেন ক্যাভালরিকে। সেই পেনাল্টিও আদায় করেন আলি মুসি। এরপর মুসি স্কোরশিটে নিজের নাম লেখান ৮৩ মিনিটে। একমিনিট পরেই সামিতের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে হ্যালিফিক্সের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন তিনিই।
হ্যালিফ্যাক্সের মাঠে আলি মুসি ম্যাচসেরা হলেও পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রক যেন ছিলেন সামিতই। ৯০ মিনিট খেলে ৮৯% পাস অ্যাকুরেসি ছিল তার। একটি অ্যাসিস্টের পাশাপাশি ম্যাচে দিয়েছেন ২টি বড় সুযোগ তৈরি করেছিলেন। ডিফেন্সিভ পজেশনে ডাবল পিভট রোলে থেকেও ৫ বার বল পাঠিয়েছেন প্রতিপক্ষের ফাইনাল থার্ডে। তাছাড়া ক্রসিংয়েও সফল ছিলেন শতভাগ।
তবে সামিতের রক্ষণ সক্ষমতাও ছিল চোখে পড়ার মতোই। ৫টি গ্রাউন্ড ডুয়েল জেতা, ৪টি ট্যাকল, ১টি ইন্টারসেপশন এবং একটি এরিয়াল ডুয়েল দিয়ে দলের জয়ে রেখেছেন বড় ভূমিকা। গেল সপ্তাহের পর আরও একটাবার মাঝমাঠে নিজের নিয়ন্ত্রণটা পুরোপুরি বুঝিয়ে দিয়েছেন ২৭ বছর বয়েসী এই বাংলাদেশি মিডফিল্ডার।
এই ম্যাচে জয়ের পর ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এসেছে সামিতের দল ক্যাভালরি এফসি। হ্যালিফাক্স আছে টেবিলের দুইয়ে। ৬ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১১ পয়েন্ট। শীর্ষে থাকা অ্যাতলেটিকো ওটোয়া ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে এখন পর্যন্ত সবার ওপরে।
এফপি/এস এন