২০১৯ সালে বড় মেয়ে পায়েলকে হারানোর পর দীর্ঘদিন শোনা যাচ্ছিল, মেয়ে যখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিল, তখন নাকি তাকে একবারের জন্যও হাসপাতালে দেখতে যাননি অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। পায়েলের শ্বশুরবাড়ির তরফে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছিল, কিন্তু দীর্ঘ সময় মৌসুমী চুপ ছিলেন।
তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মৌসুমী মুখ খুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, পায়েলকে মর্গে রাখা হয়েছিল কারণ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেনি।
মৌসুমী বলেন, “যখন হাসপাতালে পৌঁছাই, পায়েল তখন চলে গেছে। মর্গে রাখা হয়েছিল তার দেহ। আমি সেই সময় সব ঝামেলা মেটিয়েছি। যা গেছে, তা আর ফেরানো সম্ভব নয়। সন্তানের মৃত্যু কখনোই সহজভাবে গ্রহণ করা যায় না।”
মৌসুমী আরও জানান, তার ছোট মেয়ে মেঘা পায়েলকে দ্বিতীয় মা হিসেবে গণ্য করতো এবং দিদির মৃত্যু তার জন্যও এক বড় ক্ষতি ছিল।
স্বামী জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়ও মেনে নিতে পারেননি পায়েলের মৃত্যুকে। তিনি বলেন, “এই শূন্যতা কখনো পূর্ণ হবে না।”
পায়েলের স্বামী ডিকি সিনহার সঙ্গে মৌসুমীর পরিবারের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল না। ২০১৮ সালে মৌসুমী আদালতে পায়েলের আইনত অভিভাবক হওয়ার আবেদন করেছিলেন।
পায়েল ছোটবেলা থেকেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন এবং মৃত্যুর আগে দুই বছর কোমায় ছিলেন। মৌসুমীর অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে পায়েলের যথাযথ চিকিৎসা করা হয়নি এবং তার খেয়ালও ঠিক মতো রাখা হয়নি। পায়েলের মৃত্যুর পর দুই পরিবারের মধ্যে অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
এসএস/টিএ