ভারতই প্রথম যুদ্ধ বিরতির অনুরোধ করেছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণসংযোগ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি আইএসপিআর) লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী।
রোববার (১১ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ খবর জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম ডন।
আইএসপিআর ডিজি যুদ্ধবিরতি নিয়ে বলেন, পাকিস্তান ‘কখনো যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করেনি। তিনি একে ‘রেকর্ডভুক্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘৬ ও ৭ মে রাতে ভারতের কাপুরুষোচিত হামলার পর ভারতই প্রথমে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করে। তখন পাকিস্তান স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এ জঘন্য হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার পরই আমরা প্রতিক্রিয়া জানাবো। প্রতিশোধমূলক জবাব দেওয়ার পর এবং আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের অনুরোধে আমরা ভারতের পূর্বের অনুরোধের জবাব দিই।’
ডিজি আরও বলেন, ‘কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি সবসময়ই অধরা থাকবে।’
তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় ২৬টি ভারতীয় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে। এই লক্ষ্যবস্তুগুলো অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর এবং ভারতের মূল ভূখণ্ডে অবস্থিত ছিল।
তিনি বলেন, ‘লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল ভারতীয় বিমানবাহিনী ও বিমানঘাঁটি—সুরতগড়, সিরসা, আদমপুর, ভূজ, নালিয়া, বাথিন্ডা, বারনালা, হালওয়ারা, অবন্তীপোরা, শ্রীনগর, জম্মু, মামুন, আম্বালা, উধমপুর ও পাঠানকোট—যেগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে নিরীহ নাগরিকদের হত্যা করা ব্রহ্মোস মিসাইল স্থাপনাগুলোও ধ্বংস করা হয়েছে।
এসএম