গাজায় প্রাণ গেল আরও ২৬ ফিলিস্তিনির

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গৃহহীন ফিলিস্তিনিদের ওপর একের পর এক হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৮ শিশুও রয়েছে।

চিকিৎসা সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি ড্রোন হামলা ও বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল মূলত বেসামরিক ও আশ্রয়প্রার্থী জনগণ। রোববার (১১ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে একদল সাধারণ মানুষের ওপর ড্রোন হামলায় দুজন নিহত এবং অনেকে আহত হন। একই শহরে আরও একজন ড্রোন হামলায় এবং অপর একজন আগের হামলায় আহত হয়ে মারা যান।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে আশ্রয়প্রার্থীদের একটি তাবু লক্ষ্য করে চালানো হামলায় একজন ফিলিস্তিনি এবং তার ছেলে নিহত হন। একই শহরের পশ্চিমাংশে আরেকটি তাবুতে ড্রোন হামলায় দুই শিশুসহ চারজন নিহত হন এবং অনেকে আহত হন।

খান ইউনিসের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায়, আসদা শহরের কাছে দুটি তাঁবুতে পৃথক হামলায় চারজন নিহত হন, যাদের মধ্যে দুই শিশু ছিল। একই এলাকায় আরেকটি তাবুতে হামলায় আরও এক শিশু মারা যায়।পাশাপাশি, একটি সাইকেলের ওপর ড্রোন হামলায় এক তরুণ নিহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব খান ইউনিসের আবাসান আল-কাবিরা শহরে ইসরায়েলি বাহিনী তীব্র গোলাবর্ষণ ও গুলিবর্ষণ চালিয়েছে। গাজা শহরে গোলাবর্ষণে একটি শিশুর মৃত্যু হয় এবং উত্তরের জাবালিয়ায় আরেকজন মারাত্মক আহত হন।

এদিকে খান ইউনিসে একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে চালানো বিমান হামলায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। গাজা শহরে আরেক হামলায় ৫ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে একটি মেয়ে শিশুও রয়েছে।

এছাড়া গাজা শহরের আল-তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলি সেনারা চলমান বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের মধ্যে একাধিক আবাসিক ভবন ধ্বংস করছে। একইসঙ্গে জাবালিয়ার ওল্ড গাজা স্ট্রিটের একটি মসজিদেও বিমান হামলা চালানো হয়, যেখানে দুজন আহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ৫২ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

আরএম/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভূমিকম্পে কেরানীগঞ্জে হেলে পড়ল ৭ তলা ভবন Nov 21, 2025
img
শ্রীকান্তের সবচেয়ে বড় বিপদ নিয়ে ফিরল 'দ্যা ফ্যামিলি ম্যান' সিজন থ্রি Nov 21, 2025
img
জীবনকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এগিয়ে নিতে শিখিয়েছেন প্রসেনজিৎ Nov 21, 2025
img
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল ৩০ জনের, নিখোঁজ ২১ Nov 21, 2025
img
চিটিং ইজ চিটিং, ইমোশনাল হোক বা ফিজিক্যাল-সবটাই চিটিং Nov 21, 2025
img
মিস ইউনিভার্স ফাতিমার পুরস্কার জানলে চমকে যাবেন! Nov 21, 2025
img
বিশাল সেট, ইন্টেন্স ট্রেনিং-নাগা চৈতন্যর ঝলক! Nov 21, 2025
img
মেট্রোরেলের লাইনে পাওয়া গেল অবিস্ফোরিত দুই ককটেল Nov 21, 2025
img
মেয়েদের জীবনের থেকে একটা ওড়না বেশি গুরুত্বপূর্ণ: চমক Nov 21, 2025
img
অপ্রত্যাশিত স্নেহ আর নতুন সম্পর্কের গল্পে নতুন সিরিজ ‘সিঙ্গেল পাপা’ Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে শাহজালাল বিমানবন্দরের ড্রাইভওয়ের সিলিং ক্ষতিগ্রস্ত Nov 21, 2025
img
হতাহত বেশি ‘প্যানিকের কারণে’ : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা Nov 21, 2025
img
সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ Nov 21, 2025
img
আজকের ভূমিকম্পের পর ভাবার কোনো কারণ নেই, আমরা অনেক নিরাপদ আছি: ডা. জাহিদ Nov 21, 2025
মুশফিকের সততম টেস্ট বাংলাদেশ ক্রিকেটকে গর্বিত করেছে : শামসুর রহমান শুভ Nov 21, 2025
ভূমিকম্পে ভবন ধস যা বললেন স্থানীয়রা Nov 21, 2025
img
সম্পর্কের বাস্তবতা নিয়ে অভিনেত্রী ইশার মন্তব্য Nov 21, 2025
img
গুয়াহাটি টেস্টে ভারত দলের অধিনায়ক ঋশাভ পান্ত Nov 21, 2025
img
নিলামকে গুরুত্ব দিচ্ছে না পাঞ্জাব, দল নিয়েই সন্তুষ্ট কর্তৃপক্ষ Nov 21, 2025
img
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বক্তব্যটি আইওয়াশ : মঞ্জুরুল আলম পান্না Nov 21, 2025