নিরস্ত্রীকরণ ছাড়াই হামাসের সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনা

ফিলিস্তিনের গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য হামাসের নিরস্ত্রীকরণের দাবি প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এতদিন যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তবে হামাস এ ব্যাপারে নমনীয় না হওয়ায় নতুন চিন্তা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।

গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-আরাবি আল-জাদিদ।

গণমাধ্যমটির বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে বলেছে, আরব ও মিশর সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর পূর্বশর্ত হিসেবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের নিরস্ত্রীকরণের দীর্ঘ দিনের দাবি প্রত্যাখ্যান করতে প্রস্তুত।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, আলোচনায় জড়িত ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিরা মিশরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। হামাসের প্রাথমিক নিরস্ত্রীকরণের সম্ভাব্য ছাড় মার্কিন সরকারের একযোগে সব ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা বলে জানা গেছে।

সূত্রগুলো জানায়, ওয়াশিংটনের দৃষ্টিভঙ্গির এই পরিবর্তনের কারণ হলো মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভ্যন্তরীণ মহলের মধ্যে সচেতনতা যে গাজায় বন্দি ইসরাইলি জিম্মিদের বাঁচাতে কোনো সামরিক বিকল্প সহায়তা করবে না।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ মহলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান এই ধারণা যে ইসরাইল এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন সরকার এবং ট্রাম্পের প্রতি অত্যধিক কর্তৃত্ববাদী এবং কৌশলী আচরণ করছেন।

প্রসঙ্গত, গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরাইল। তারপর প্রায় দুই মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরাইলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৭৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও সাত হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছেন। ইসরাইলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বক্তব্যটি আইওয়াশ : মঞ্জুরুল আলম পান্না Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পের ঘটনায় জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসনের Nov 21, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ Nov 21, 2025
img
সামনে আরো বড় ভূমিকম্প হতে পারে, বিশেষজ্ঞের সতর্কবার্তা Nov 21, 2025
img
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যবস্থা, গুজবে কান না দিতে নাগরিকদের অনুরোধ Nov 21, 2025
img
২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে ভারতের বিমান ঢোকা বন্ধ Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক প্রকাশ Nov 21, 2025
img
বিএনপির হটকারিতার কারণে দেশ স্বৈরাচারী অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে: আকন্দ Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পের পর নারায়ণগঞ্জে তুলার গোডাউনে আগুন Nov 21, 2025
img
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে মুখ খুললেন মামদানি Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে ৩ জেলায় নিহত ৬ জন Nov 21, 2025
img
পাকিস্তানে কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ গেল ১৫ জনের Nov 21, 2025
img
বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া Nov 21, 2025
img
ইমরান কি তার স্কুলে আবার আগের মত করে ফিরতে পারবে? প্রশ্ন মাসুদ কামালের Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে ঢাবির একাধিক হলের ভবনে ফাটল Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে নরসিংদীতে আহত অর্ধশতাধিক Nov 21, 2025
img
সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ঘোষণা রোববার Nov 21, 2025
img
নৈতিকতার জায়গায় আমরা নিশ্চয়ই ভালো না : নিলোফার মনি Nov 21, 2025
img
শেষ দিন হতে পারত, ভূমিকম্পের পর বললেন ফারুকী Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ১৮ জন ঢাকা মেডিকেলে Nov 21, 2025