প্রথা ভেঙে ট্রাম্পকে সম্মান জানালেন সৌদি যুবরাজ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম আন্তর্জাতিক সফরের সূচনায় সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছেছেন। এ সময় সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান প্রথা ভেঙে বিমানবন্দরে গিয়ে তাকে স্বাগত জানান। ট্রাম্পের বিমান, এয়ার ফোর্স ওয়ান, সৌদি আকাশসীমায় প্রবেশের পর ছয়টি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান দিয়ে এস্কর্ট করা হয়, যা সৌদি আরবের পক্ষ থেকে একটি ব্যতিক্রমী কূটনৈতিক সৌজন্য।

রিয়াদে অবতরণের পর ট্রাম্পকে ল্যাভেন্ডার রঙের কার্পেট সংবর্ধনা দেওয়া হয়, যা সৌদি আরবে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান হিসেবে বিবেচিত। এরপর তাকে ঐতিহ্যবাহী আরব কফি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং ব্যবসায়ী ইলন মাস্কসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। 
Time

এই সফরের মূল লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করা। সফরের সময় প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক ও প্রযুক্তি সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার আওতায় সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্র থেকে উন্নত অস্ত্র, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং নজরদারি প্রযুক্তি কিনবে।

ট্রাম্পের এই সফরকে অনেকেই 'ঐতিহাসিক' বলে অভিহিত করছেন। ২০১৭ সালে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প তার প্রথম আন্তর্জাতিক সফর শুরু করেছিলেন সৌদি আরব দিয়ে। এবার দ্বিতীয় মেয়াদেও আবার রিয়াদ দিয়েই শুরু, তবে পার্থক্য হলো, এবার সফর তালিকায় ইসরায়েল নেই। বিশ্লেষকদের মতে, এটি একটি কৌশলগত বার্তা, যা সৌদি ও উপসাগরীয় রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারকে স্পষ্ট করছে। 
WSJ

এই সফরের সময়কালেই হামাস গাজা থেকে মুক্তি দেয় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিক এডান আলেকজান্ডারকে, যাকে রেড ক্রসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। ট্রাম্প একে 'বড় সাফল্য' বলে অভিহিত করেন।

এই সফরের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদারের লক্ষ্যে কাজ করছে। বিশেষ করে সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ইরান ও ইয়েমেন সংকটের প্রেক্ষাপটে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি এই সফরের প্রধান উদ্দেশ্য।


এসএস/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যবস্থা, গুজবে কান না দিতে নাগরিকদের অনুরোধ Nov 21, 2025
img
২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে ভারতের বিমান ঢোকা বন্ধ Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক প্রকাশ Nov 21, 2025
img
বিএনপির হটকারিতার কারণে দেশ স্বৈরাচারী অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে: আকন্দ Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পের পর নারায়ণগঞ্জে তুলার গোডাউনে আগুন Nov 21, 2025
img
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে মুখ খুললেন মামদানি Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে ৩ জেলায় নিহত ৬ জন Nov 21, 2025
img
পাকিস্তানে কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ গেল ১৫ জনের Nov 21, 2025
img
বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া Nov 21, 2025
img
ইমরান কি তার স্কুলে আবার আগের মত করে ফিরতে পারবে? প্রশ্ন মাসুদ কামালের Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে ঢাবির একাধিক হলের ভবনে ফাটল Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে নরসিংদীতে আহত অর্ধশতাধিক Nov 21, 2025
img
সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ঘোষণা রোববার Nov 21, 2025
img
নৈতিকতার জায়গায় আমরা নিশ্চয়ই ভালো না : নিলোফার মনি Nov 21, 2025
img
শেষ দিন হতে পারত, ভূমিকম্পের পর বললেন ফারুকী Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ১৮ জন ঢাকা মেডিকেলে Nov 21, 2025
img
টপ থার্টিতেই থেমে গেল বাংলাদেশের মিথিলার যাত্রা Nov 21, 2025
img
সবাই কেন সমানভাবে ভূমিকম্প টের পায় না? Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে : প্রধান উপদেষ্টা Nov 21, 2025
img
এই ভূমিকম্প আমাদের জন্য সতর্কবার্তা : উপদেষ্টা রিজওয়ানা Nov 21, 2025