পুতিন-জেলেনস্কির বৈঠকের আগে রাশিয়াকে যে হুমকি দিল ইউরোপ

চলতি সপ্তাহে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা তুরস্কে অনুষ্ঠিত হতে পারে। ইতোমধ্যে ইউরোপীয় নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, কিয়েভের সঙ্গে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির চুক্তি না মানলে মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

বিভিন্ন পর্যায়ে থেমে থেমে চলা শান্তি আলোচনা আবারও গতি পাচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সরাসরি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। রোববার তিনি জানান, বৃহস্পতিবার তুরস্কে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের অপেক্ষায় থাকবেন তিনি।

ইস্তাম্বুলে প্রস্তাবিত বৈঠকের আগে কূটনৈতিকভাবে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ—কিয়েভ, মস্কো, ওয়াশিংটন ও ইউরোপীয় নেতারা। প্রত্যেকে নিজ নিজ পছন্দসই সমাধান চায়।

ইউরোপ কী চায়?
ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা সোমবার থেকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে, যা সরাসরি শান্তি আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছে, সোমবারের মধ্যে ক্রেমলিন যদি তাদের অবস্থানে পরিবর্তন না আনে, তাহলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।

জার্মান সরকারের মুখপাত্র স্টেফান কর্নেলিয়াস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ঘড়ির কাঁটা চলছে—এই দিনের শেষ পর্যন্ত আমাদের হাতে এখনো ১২ ঘণ্টা সময় আছে।’

তবে ইউরোপীয় হুমকিকে আমলে নেয়নি মস্কো। সোমবার ক্রেমলিন তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ তার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘রাশিয়ার জন্য আল্টিমেটামের ভাষা গ্রহণযোগ্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘মস্কো এই সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে গঠনমূলক ও গুরুত্ব সহকারে আলোচনা চায়।’

এছাড়া ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন বিষয়ে আলোচনার জন্য ইউরোপের পাঁচটি প্রধান সামরিক শক্তির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা শুক্রবার ইতালিতে বৈঠকে বসবেন। ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইডো ক্রোসেটো জানিয়েছেন, তিনি ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের আতিথ্য দেবেন।


এসএস/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যবস্থা, গুজবে কান না দিতে নাগরিকদের অনুরোধ Nov 21, 2025
img
২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে ভারতের বিমান ঢোকা বন্ধ Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক প্রকাশ Nov 21, 2025
img
বিএনপির হটকারিতার কারণে দেশ স্বৈরাচারী অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে: আকন্দ Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পের পর নারায়ণগঞ্জে তুলার গোডাউনে আগুন Nov 21, 2025
img
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে মুখ খুললেন মামদানি Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে ৩ জেলায় নিহত ৬ জন Nov 21, 2025
img
পাকিস্তানে কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ গেল ১৫ জনের Nov 21, 2025
img
বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া Nov 21, 2025
img
ইমরান কি তার স্কুলে আবার আগের মত করে ফিরতে পারবে? প্রশ্ন মাসুদ কামালের Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে ঢাবির একাধিক হলের ভবনে ফাটল Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে নরসিংদীতে আহত অর্ধশতাধিক Nov 21, 2025
img
সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ঘোষণা রোববার Nov 21, 2025
img
নৈতিকতার জায়গায় আমরা নিশ্চয়ই ভালো না : নিলোফার মনি Nov 21, 2025
img
শেষ দিন হতে পারত, ভূমিকম্পের পর বললেন ফারুকী Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ১৮ জন ঢাকা মেডিকেলে Nov 21, 2025
img
টপ থার্টিতেই থেমে গেল বাংলাদেশের মিথিলার যাত্রা Nov 21, 2025
img
সবাই কেন সমানভাবে ভূমিকম্প টের পায় না? Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে : প্রধান উপদেষ্টা Nov 21, 2025
img
এই ভূমিকম্প আমাদের জন্য সতর্কবার্তা : উপদেষ্টা রিজওয়ানা Nov 21, 2025