জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিলের শুনানি চলছে

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিলের শুনানি চলছে।

বুধবার (১৪ মে) সকাল ৯টায় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। তাকে সহায়তা করছেন ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

দলটির নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির জন্য গত ৭ মে পরবর্তী দিন হিসেবে ১৩ মে ধার্য করেন আপিল বিভাগ। গতকাল শুনানি শেষ না হওয়ায় কোর্ট মুলতবি করে ১৪ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

এর আগে গত ৭ মে জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির মামলাটি দ্রুত শুনানির আবেদন জানান।

জামায়াতের এ আপিল শুনানি শুরু হয়েছিল গত ১২ মার্চ। তবে এরপর আর শুনানি হয়নি। এর আগেও ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর শুনানির দিনে জামায়াতপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আপিলটি খারিজ করে দেয় আদালত। পরে পুনরুজ্জীবনের আবেদন করলে গত বছরের ২২ অক্টোবর বিলম্ব মার্জনা করে আপিলটি পুনরায় শুনানির অনুমতি দেয় আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। তবে ২০০৯ সালে জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বিভিন্ন ইসলামি দলের নেতারা। রিটে বলা হয়, দলটির গঠনতন্ত্র সংবিধানবিরোধী। এরপর জামায়াত একাধিকবার গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়।

২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। আদালত বলেন, দলটির নিবন্ধন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত আপিল করে, যা দীর্ঘ সময় ঝুলে থাকার পর সম্প্রতি আবার শুনানির পর্যায়ে এসেছে।

২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর শুনানিতে জামায়াতপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত না থাকায় আপিল বিভাগ মামলাটি ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ হিসেবে খারিজ করে দেয়। পরে আবেদন করে মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হয়।

এদিকে, ২০২৪ সালের ১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতে ইসলামী ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তবে একই বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ২৮ আগস্ট জামায়াত নিষিদ্ধ করার আদেশ প্রত্যাহার করে নতুন সরকার। এরপর দলটি নিবন্ধন ফিরে পেতে আবারও আইনি উদ্যোগ নেয় এবং আপিল বিভাগে পুনরায় শুনানির আবেদন করে।

আরএম/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ