আজারবাইজান ও তুরস্ক বয়কটের ডাক ভারতীয় পর্যটকদের

পাকিস্তানকে সমর্থন জানানোয় তুরস্ক ও আজারবাইজানে ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করছেন ভারতীয় পর্যটকেরা। বুকিং সংস্থাগুলো বুধবার জানিয়েছে, সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য নিউজ ডটকম ডট পিকে।

গত মাসে ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে একটি প্রাণঘাতী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক চরম উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। নয়াদিল্লি দাবি করে, হামলাটির পেছনে ইসলামাবাদের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে—যদিও তারা কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।

পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং ঘটনার একটি নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের দাবি জানায়। এরপর ভারত যে স্থানে সন্ত্রাসী ঘাঁটি রয়েছে বলে দাবি করেছিল, সেখানে বিমান হামলা চালায়। এর পর উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়। তবে শনিবার একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত রয়েছে।

তুরস্ক ও আজারবাইজান—যা ভারতীয় পর্যটকদের কাছে সাশ্রয়ী ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে জনপ্রিয়—ভারতের হামলার পর ইসলামাবাদকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানায়।

এই পরিস্থিতিতে বুকিং সংস্থা মেকমাইট্রিপ-এর এক মুখপাত্র জানান, গত এক সপ্তাহে তুরস্ক ও আজারবাইজানে ভ্রমণ সংক্রান্ত বুকিং ৬০ শতাংশ কমেছে এবং বাতিলের হার ২৫০ শতাংশ বেড়েছে।

ইজিমাইট্রিপ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিকান্ত পিটি বলেন, সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে তুরস্কের জন্য ২২ শতাংশ এবং আজারবাইজানের জন্য ৩০ শতাংশ ভ্রমণ বাতিল হয়েছে।

তিনি আরও জানান, অনেক ভ্রমণপ্রেমী এখন জর্জিয়া, সার্বিয়া, গ্রিস, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম এর মতো বিকল্প গন্তব্য বেছে নিচ্ছেন।

অন্য একটি টিকিটিং সংস্থা ইক্সিগো তাদের এক্স (সাবেক টুইটার)-এ জানায়, তারা তুরস্ক, আজারবাইজান ও চীন-এর জন্য বিমান ও হোটেল বুকিং স্থগিত করেছে।

ইজিমাইট্রিপ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান নিশান্ত পিটি এক্সে জানান, গত বছর প্রায় ২ লাখ ৮৭ হাজার ভারতীয় তুরস্ক সফর করেছিলেন এবং ২ লাখ ৪৩ হাজার গিয়েছিলেন আজারবাইজান।

তিনি বলেন, যখন এই দেশগুলো প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন করে, তখন আমাদের কি তাদের পর্যটন খাতে অর্থ ব্যয় করে তাদের অর্থনীতি মজবুত করার প্রয়োজন আছে?

আরএম/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ