ঢাকার সাভারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চোর সন্দেহে অভিজিৎ দে (৩৪) নামে এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেছে কয়েকজন যুবক। পরে নির্যাতনের শিকার ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৭ মে) বিকেল থেকে রাত ৮ পর্যন্ত সাভার পৌর এলাকার দক্ষিণ দরিয়ারপুর মহল্লায় সরকারি ডাক বাংলোর সামনে একটি গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয় তাকে।
নির্যাতনের শিকার অভিজিৎ দে চট্টগ্রামের রাউজান সুলতানপুর এলাকার কমল কান্তি দের ছেলে বলে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন হতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হলে অভিজিৎ সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে প্রবেশ করে। পরে তিনি খাবারের জন্য হাসপাতালের দোতলায় যায়। কিন্তু হাসপাতালের ভর্তিকৃত রোগীর স্বজনরা অভিজিৎকে বের করে দেন। এরপরে তিনি আজকে বিকেলে আবার হাসপাতালে প্রবেশ করে এবং দোতলায় যায়। এতে দোতলায় থাকা কয়েকজন যুবক অভিজিৎকে বাচ্চা চুরি করতে এসেছে অভিযোগ তুলে হাসপাতালের বাহিরে নিয়ে এসে মারধর শুরু করেন। এ সময় হাসপাতালে সামনে থাকা আরো কয়েকজন যুবক অভিজিৎকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে দফায় দফার মারধর করে। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশ খবর পেয়ে অভিজিৎকে থানা হেফাজতে নেয়।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চম্পক বড়ুয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মারধরের শিকার ওই যুবককে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই যুবক মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। তবে হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটলেও তারা (হাসপাতাল) কর্তৃপক্ষ থানায় বিষয়টি অবহিত করেনি। তবে এঘটনায় কয়েকজন যুবককে থানা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডা. আবিদুর রহমান বলেন, আমাদের বিষয়টি কেউ জানায়নি। সে কারণে বিষয়টি নজরে না আসায় পুলিশকে অবহিত করা সম্ভব হয়নি।
তবে এ ঘটনায় সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান বলেন, জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের উচিত ছিল পুলিশ এবং আমাকে জানানো। তবে বিষয়টি আমাকেও অবহিত করেনি। এ ঘটনায় আমাদের কারো গাফলতি থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরআর