মেহেরপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, আহত ১০

কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড মেহেরপুর। জেলায় মাত্র ৩০ মিনিটের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় দোকান ঘরের চাল ভেঙে ১০ জন আহত হয়েছে।

শনিবার (১৭ মে) হঠাৎ করে বিকাল থেকে মেহেরপুরের আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হয় কাল বৈশাখী ঝড় কালবৈশাখীর তান্ডব। ৩০ মিনিট ধরে থেমে থেমে চলে কালবৈশাখীর তান্ডব। এসময় বজ্রপাত ও মুশুলধারে বৃষ্টিপাত হতে থাকে। ঝড়ের কারনে বিভিন্ন গাছপালা, টিনের বসত ঘর, দোকানসহ নানা স্থাপনা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। আবার মধু মাস চলায় আম ও লিচুর বাগান গুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বেশীর ভাগ টিন ও মাটির ঘরবাড়ি সহ দোকান ভেঙে পড়ে। অনেকের টিনের ছাউনি উড়ে যায়। শহরের বিভিন্ন সড়কে গাছ উপড়ে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গাছের ডালপালা ভেঙ্গে বিদ্যুৎতের তার ছিড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন হয়ে গেছে পুরো শহর। ঝড়ের সাথে বজ্রপাত ও মুশুল ধারে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

শহরের ওয়াপদা মোড়ের চায়ের দোকানদার শফি জানান, হঠাৎ করে শুরু হওয়া ঝড়ে তার দোকানের টিনের চাল উড়ে গেছে। এমন গতির ঝড় গত কয়েক বছরে দেখেনি মেহেরপুর বাসী।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সুত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা সড়কের একটি দোকানের নিচে কিছু সাধারন মানুষ ঝড়ের সময় আশ্রয় নেয়। পরে কালবৈশাখীর প্রকোপে দোকানটি ভেঙে পড়লে সেখানে থাকা ১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে ঝড়ের তাণ্ডবে আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে কয়েকজন বাগান মালিক জানিয়েছেন। একজন আম ব্যাবসায়ী জানান, সন্ধ্যায় মেহেরপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে তার তিনটা আম বাগানের ৩ ভাগ আম ঝরে মাটিতে পরে গেছে। এতে করে বাগান কেনার টাকা ঘরে ফেরা নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। এমন গতির ঝড় এর আগে না দেখার কথাও বলেন এই আম ব্যাবসায়ী।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলায় সন্ধ্যায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আরআর

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হামলা বন্ধে চাপ বাড়ছে নেতানিয়াহুর ওপর May 18, 2025
img
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সম্প্রসারণে নতুন নীতিমালা জারি May 18, 2025
দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানালেন সালমান মুক্তাদির May 18, 2025
img
নুসরাতকে এভাবে গ্রেফতার পুরো বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে :এনসিপি নেতা May 18, 2025
img
প্রতিভা আর অদম্য মনোবল ছাড়া পেছনে কেউ ছিল না: হুমা কোরেশি May 18, 2025
তিন আসামীর খালাসে ক্ষুব্ধ আছিয়ার মা May 18, 2025
img
যখনই পাকিস্তানে আসি, উপভোগ করি: সাকিব May 18, 2025
img
তখন অন্যরকম একটা অবস্থা ছিল, আমাদের সবার: জয়া May 18, 2025
img
পর্দার শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড পালাচ্ছিলেন! May 18, 2025
‘১০ মাস গড়ায় গেল, এখনও মায়ের পেটের বাচ্চা হইল না’ May 18, 2025
img
টানা দ্বিতীয়বারের মতো বুন্দেসলিগার টপ স্কোরার কেইন May 18, 2025
img
নির্বাচন বিলম্বিত হলে অস্থিরতা বাড়বে: আমির খসরু May 18, 2025
img
কানে বাঙালি সাজে বর্ষার প্রশংসা করেছেন ভিনদেশিরা May 18, 2025
img
বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল ২ জনের May 18, 2025
img
নারী কমিশনের প্রস্তাব পতিত স্বৈরাচারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের দলিল : মহিলা ফোরাম May 18, 2025
যে কারণে সেনাবাহিনী ও পুলিশের প্রেসক্লাবে অবস্থান May 18, 2025
কোতোয়ালী থানার ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ May 18, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনসহ সংস্কারের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোট চায় জামায়াত May 18, 2025
img
বাংলাদেশ-জাপানের বিমান ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত May 18, 2025
img
ফেসবুকে স্যাড রিয়্যাক্ট দেওয়ায় শোকজ, অবিশ্বাস্য: আশফাক নিপুণ May 18, 2025