ক্রিকেটটা দলীয় খেলা। দলের ফলাফলটাই এখানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে বরাবরই। বাংলাদেশের গতকালের ম্যাচটাও হয়েছে ঠিক তেমনই। নিজেদের ইতিহাসে ৪র্থ সর্বোচ্চ রান জমা করেছিলেন টাইগার ব্যাটাররা। কিন্তু দল হিসেবে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ লিখেছে ব্যর্থতার কাব্য। সেটার কারণে দিনশেষে ম্লান হয়েছে ব্যাটিং ইউনিটের কৃতিত্বটা।
শারজাহতে সোমবার সিরিজের ২য় ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংসের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লেতে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে ভাল শুরুই তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। বিশেষ করে তামিম এদিন রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন। তার ফিফটিতেই বড় সংগ্রহের পথ খুঁজে পায় বাংলাদেশ।
তানজিদ তামিম এদিন পেয়েছিলেন ২৬ বলে ফিফটি। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম বলে ফিফটির হিসেবে সেটা থাকছে সেরা ৫-এর বাইরে। কিন্তু ওভার বিবেচনায় তানজিদ তামিম ঠিকই দেশের ক্রিকেটের পরিসংখ্যানটা পালটে দিয়েছেন আরও একবার।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে মাত্র ৩য় ব্যাটার হিসেবে পাওয়ারপ্লের (৬ ওভার) মাঝেই ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন তানজিদ তামিম। ২০০৭ সালে নাইরোবিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনার নাজিমুদ্দিন এবং ২০২২ সালে অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে লিটন কুমার দাস করে দেখিয়েছিলেন এমন কিছু।
তবে তানজিদের ফিফটির কৃতিত্ব এখানেই থামছে না। আরব আমিরাতের বিপক্ষে তার এই ফিফটি ওভারের বিচারে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম। গতকাল ইনিংসের ৫.৪ ওভারে ফিফটিতে পৌঁছান তানজিদ তামিম। এর আগে ফিফটি পৌঁছাবার কৃতিত্ব কেবল লিটনের। ২০২২ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ফিফটি করতে লিটনের সময় লেগেছিল ৫.২ ওভার। নাজিমুদ্দিন ২০০৭ সালের ফিফটি পেয়েছিলেন ৬.০ ওভারে।
তবে তানজিদের তামিমের এমন ‘দ্রুততম’ ফিফটি শেষ পর্যন্ত আর কাজে লাগেনি বোলিং ইউনিটের ব্যর্থতার কারণে। ২০৫ রান স্কোরবোর্ডে তুলেও ম্যাচ হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সেটা ম্লান করেছে তামিমের কীর্তিকেও।
আরআর/এসএন