এক বছরে দেশে বেকার বেড়েছে সোয়া তিন লাখ। চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বরে বেকারত্বের হার বেড়ে ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশে পৌঁছেছে। বর্তমানে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখ ৩০ হাজার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, আগের বছরের একই সময়ে এ হার ছিল ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে এ হার ছিল ২৩ লাখ ৫০ হাজার। বেকারত্ব বাড়ার কারণ হিসেবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ পরিবেশ না থাকা ও ব্যাংক ঋণের সুদহার বেশি হওয়ায় বেকারত্ব বেড়েছে।
বিবিএসের সংজ্ঞা অনুযায়ী, বাংলাদেশে বেকার জনগোষ্ঠী মূলত তারাই, যারা সাত দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি, কিন্তু কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং বেতন বা মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে কোনো না কোনো কাজ খুঁজেছেন।
নারীর তুলনায় পুরুষ বেকার বেড়েছে বেশি। বিবিএস জানায়, কৃষি, শিল্প ও সেবা—তিনটি প্রধান খাতেই কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী কমেছে। এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা। বিশেষত ব্যাংকঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগে নতুন উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান কমে এসেছে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদের হার, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং মুদ্রানীতির কড়াকড়ির ফলে বিনিয়োগ ব্যাহত হচ্ছে। ব্যক্তি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার নিচে রয়েছে। সুতরাং বিনিয়োগ কম হলে কর্মসংস্থানের সুযোগও সংকুচিত হয়। ‘বিদেশ থেকেও কর্মসংস্থান কিছুটা কমেছে। যদি সেটাও না হতো, তাহলে চিত্র আরো খারাপ হতে পারত।’