ঈদুল আজহায় নৌ পথে নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড কাজ করবে জানিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, প্রত্যেক লঞ্চে আগামী ৫ জুন থেকে ৪ জন করে অস্ত্রধারী আনসার থাকবে।
বুধবার (২১ মে) সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে নৌপথে যাতায়াতের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, নৌ খাতে প্রচুর লোক যাতায়াত করে দক্ষিণবঙ্গে। গত ঈদের মতো আগামী ঈদেও রেল, বাস, নৌ সব পথে যাতায়াতে সবাই খুশি থাকবে। এবারও তেমন হবে। সেভাবেই সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
কোরবানির পশু আনার সময় যেন চিহ্নিত করা হয়, কোন জায়গা থেকে কোন হাটে যাবে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ঈদের ৩ দিন আগে থেকে পরের ৭ দিন নদীপথে বাল্কহেড চলবে না। রাতে স্পিডবোট চলবে না।
ঈদুল আজহায় নৌ পথে নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড কাজ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক লঞ্চে আগামী ৫ জুন থেকে ৪ জন করে অস্ত্রধারী আনসার থাকবে। রৌমারী থেকে চিলমারী রুটে ২টি ফেরি চালু হয়েছে। এটা ট্রায়াল চলছে। আপাতত ট্রায়াল চলছে। বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চলবে। এটা জামালপুরকে কানেক্ট করবে। দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ কমবে। ড্রেজিং করে এই নৌ রুট চালু করা হয়েছে।
এ সময় তিনি বড় লঞ্চগুলোকে পাল্লা দিতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা থেকে লঞ্চ বের হওয়া ও প্রবেশের সময় গতি কম রাখতে হবে, যেন ঢেউ সৃষ্টি হয়ে নৌকা বিপদে না পড়ে। ওভারলোড করা যাবে না। যাত্রী ছাদে উঠবে না। আবহাওয়া পূর্বাভাস যেন দেয়া হয়।
এফপি/টিএ