ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে আবারও বাস ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। দ্রুততম সময়ে জড়িতদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে বুধবার (২১ মে) ভোর ৫টা পর্যন্ত যাত্রীবাহী একটি বাসে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে ‘আল ইমরান পরিবহন’-এর একটি যাত্রীবাহী বাস রংপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে। পথে সাভারের নরসিংহপুর, বাইপাইল, আশুলিয়া থেকেও কিছু যাত্রী বাসে ওঠেন। এলেঙ্গা পার হবার পরপরই যাত্রীবেশে থাকা ৮-১০ জনের ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। চালক-হেলপার ও যাত্রীদের চোখ, মুখ, হাত-পা বেঁধে, লুট করা হয় টাকাপয়সা, স্বর্ণালঙ্কার। যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের গোলচত্বর এলাকায় গিয়ে বাসটি ঘুরিয়ে পুনরায় ঢাকার দিকে যেতে থাকে।
চলাচলের সময় ডাকাতরা প্রত্যেক যাত্রীর দেহ তল্লাশি করে মুঠোফোন, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মালামাল লুটে নেয়। তারা বাসটি নিয়ে সাভারের চন্দ্রা-আশুলিয়া পর্যন্ত যায় এবং রাতভর কয়েকবার ওই এলাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত চক্কর দেয়।
বাস যাত্রী বগুড়ার আদমদীঘির জুয়েল মিয়া জানান, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার সময় নারী যাত্রীদের তল্লাশির নামে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। তার চোখ-মুখ বাঁধা থাকলেও নারী যাত্রীদের কান্নাকাটি ও কাকুতি-মিনতি শুনতে পান।
টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহমদ বলেন, মামলা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। ডাকাত দলকে চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ শুরু করছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এই মহাসড়কে ‘ইউনিক রয়েলস’-এর একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালের ২ আগস্ট একই কায়দায় কুষ্টিয়াগামী একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আরএম/এসএন