মূল ঝামেলা বেঁধেছে মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে : রাশেদ খান

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতেই মূল বিরোধ তৈরি হয়েছে। এই দুটি বিষয় বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে একমত হলে উপদেষ্টা পরিষদের বাকবিতণ্ডা চলতেই থাকবে।

শুক্রবার (২৩ মে) সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ খান বলেন, ‘মূল ঝামেলা বেঁধেছে মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে! এই দুটো বিদেশিদের দেওয়ার জন্য একমত হয়ে যান, উপদেষ্টা পরিষদ বাগবাকুম করতে থাকবে। প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে বিদেশ নির্ভর এসব উপদেষ্টারা নিজেদের প্রভুদের দেওয়া ওয়াদা রক্ষা করতে চায়।’

ইমোশনাল ব্লাকমেইল করা হচ্ছে জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, ‘মূলত এভাবে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করা হচ্ছে। দেশের সিকিউরিটি থ্রেট তাদের কাছে মুখ্য বিষয় না, এনজিও চালিয়ে পয়সাপাতি কামানোই তাদের কাছে মুখ্য বিষয়। ১০ মাসেও সরকার যদি কোন সংস্কার করতে না পারে, সেই ব্যর্থতা কার? সংস্কার কি কোন পুঁথিগত আলাপ দিয়ে সম্ভব?’

সংস্কার বাস্তবায়নে সরকারের করণীয় জানিয়ে রাশেদ খান লিখেছেন, ‘এইজন্য দরকার সকল দলের অংশগ্রহণে ঘনঘন রাজনৈতিক সংলাপ। কিন্তু সেটি করা হয় না। এখনো পর্যন্ত দলগুলোকে নিয়ে একটেবিলে বসে মনখুলে কোন আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নামেমাত্র ইস্যুভিত্তিক ২টা সংলাপ ডেকেছে, প্রতিটা দলের ১ জন করে ২-৩ মিনিট কথা বলার সুযোগ পেয়েছে। সেটাও আবার সংস্কারের জন্য সংলাপ নয়।’

ঐক্যমত্য না হাওয়ার পেছনে রাশেদ খান বলেন, ‘১০ মাসেও যদি রাজনৈতিক দলগুলোর একটেবিলে বসিয়ে সময় নিয়ে আলোচনার করার উদ্যোগ তারা না নেয়, ঐক্যমত্য কি আপনাআপনি হয়ে যাবে? সবকিছু আবেগ দিয়ে হয় না, বাস্তবায়নের জন্য যোগ্যলোকের প্রয়োজন হয়। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের সবথেকে বড় দুর্বলতা তার সঙ্গে যোগ্যলোককে তিনি নেননি, ছাত্রদের পরামর্শে একদল অনভিজ্ঞ, বিতর্কিত দিয়ে তিনি উপদেষ্টা পরিষদ গঠনে সম্মতি দিয়েছেন।’

রাশেদ খান আরও লিখেছেন, ‘আর এজন্যই সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হচ্ছে যে, ১০ মাসেও উপদেষ্টাদের কাজের সফলতা, রাষ্ট্র সংস্কারে যথাযথ পদক্ষেপগ্রহণ, গণহত্যার বিচারে তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের পারফরম্যান্স, আন্তর্জাতিক ইমেজ দিয়ে সবকিছুর পরিবর্তন হবে না। ভাল টিম না পেলে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হওয়া যায়, কিন্তু ম্যাচ জেতা যায় না। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের এই দুর্ভাগ্য যে, তিনি নিজে ভাল খেলতেছেন, কিন্তু ম্যাচ জেতানোর প্লেয়ার পাচ্ছেন না। একারণেও ১০ মাসে কোন সংস্কার হয়নি।’

আরএ/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভারতে বজ্রপাত ও ঝড়ে ৪৫ জনের প্রাণহানি May 24, 2025
img
কখন কী হয়ে যায়, সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছে : আসাদুজ্জামান রিপন May 24, 2025
img
দক্ষিণ সুদানে ফেব্রুয়ারি থেকে সংঘর্ষে অন্তত ৭৫ জন নিহত : জাতিসংঘ May 24, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল কিশোরের May 24, 2025
img
সাবেক ওসি প্রদীপকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়া খবরটি গুজব : কারা অধিদপ্তর May 24, 2025
img
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৃক্ষমেলায় ককটেল বিস্ফোরণ May 24, 2025
img
জুলাই ঐক্যের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা May 24, 2025
img
ব্যক্তি-দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্য সমুন্নত রাখার আহ্বান শিবিরের May 24, 2025
img
সংবাদ সম্মেলন ডাকল এনসিপি May 24, 2025
img
দিল্লী থেকে আরেকটি ১/১১ ঘটানোর ষড়যন্ত্র চলছে: এনসিপি নেতা শিশির May 24, 2025
img
পদত্যাগ করার এখতিয়ার ইউনূস সরকারের নেই: ফয়জুল করীম May 24, 2025
img
পিনাকী, ইলিয়াস ও কনকের ঐক্যবদ্ধ আহ্বান May 24, 2025
img
নেতানিয়াহু'র দেশকে দয়া দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও প্রধান May 24, 2025
img
ফ্লোরাল গাউনে অভিষেকেই কান জয় আলিয়ার! May 24, 2025
img
শনিবার বিএনপি-জামায়াতের সাথে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা May 24, 2025
img
ড. ইউনূসের পদত্যাগ নয়, উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন চায় জনগণ : প্রিন্স May 24, 2025
img
সম্পর্কের জটিল বন্ধনে ‘গৃহপ্রবেশ’, কোন কাহিনি উঠে আসবে পর্দায়? May 24, 2025
img
ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের মেধা-অধ্যবসায় আমাদের মুগ্ধ করেছে: জোবাইদা রহমান May 24, 2025
img
সাকিব ব্যর্থ, রিশাদের নৈপুণ্যে ফাইনালে লাহোর May 24, 2025
img
শাকিব খানের ধামাকা থামছেই না, প্রশংসায় ভাসালেন বুবলী! May 24, 2025