সন্তান জন্মের পর পরিবারের মধ্যে আনন্দের অন্ত থাকে না। ভূমিষ্ঠ সন্তানকে নিয়ে কত শত জল্পনা সাজান বাবা-মা। তবে সেই সৌভাগ্য হয়নি অভিনেতা রাজ বাব্বর-স্মিতা পাতিলের সন্তান প্রতীকের। অভিনেতা প্রতীকের নামের পদবি নিয়ে বাবা-মায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ছেলেবেলার তিক্ত অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন অভিনেতা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেই সাক্ষাৎকারে প্রতীক বলেন, ‘জন্মের পর থেকে আমাকে নিয়ে টানাটানি! বাবা চাইতেন, আমি তার পদবিতে পরিচিত হই। মায়ের দাবি, আমি শুধুই তার সন্তান। ফলে পদবি ব্যবহার করা নিয়ে মা-বাবার দ্বন্দ্ব। যা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। ছোট থেকে এই ঘটনা দেখতে দেখতে বড় হওয়া। একটা সময় পর মা-বাবার ওপরে প্রচণ্ড বিরক্তিই হয়েছিলাম।’
অভিনেতা মনে করেন, পদবি নিয়ে মা-বাবার এই টানাপোড়েনে না চাইতেই ‘অপরাধী’ হয়েছেন তিনি। বাবা-মায়ের দ্বন্দ্বের কারণে শৈশবের মধুর সময়গুলো অন্ধকার বিষাদে পরিণত হয়। সেই অনুভূতি থেকে বড় হওয়ার পর তিনি একটা সময় এমনও ভাবতে শুরু করেছিলেন, ‘কে মা! কে বাবা! আমি প্রতীক। শুধুই প্রতীক। প্রতীক হয়ে জন্মেছি। শেষ দিন পর্যন্ত শুধুই প্রতীক হয়ে থাকব।’
এই ভাবনা থেকে মা-বাবার পদবি নিজের নাম থেকে ছেঁটে ফেলেন। একাধিক ছবির পরিচয় লিপিতে শুধুই প্রতীক নাম ব্যবহার করতে দেখা গেছে তাকে।
পদবি নিয়ে দ্বন্দ্ব আদালতে সমাধান হয়েছিল। আইনি যুদ্ধে প্রতীকের মা জিতেছিলেন। আদালত আদেশ দেয় মায়ের পদবি ব্যবহারের। যদিও বড় হওয়া পর্যন্ত বাবার পদবিই ছিল অভিনেতার নামের সঙ্গে। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতীক বুঝতে পারেন মাকে অসম্মান করা হচ্ছে। এরপর থেকে মায়ের পদবি লিখতে শুরু করেন অভিনেতা।
টিকে/টিএ