মাত্র ১২ বছর বয়সে মিলিওনিয়ার হয়ে ওঠেন অভিনেত্রী কেকি পামার। কিন্তু বিপুল সম্পদের মালিক হয়েও তিনি বেছে নিয়েছেন সাধারণ জীবনধারা। ৩১ বছর বয়সী এই তারকা প্রতি মাসে মাত্র ১,৫০০ ডলারে বাসা ভাড়া নেন এবং একটি লেক্সাস গাড়ি ব্যবহার করেন।
তিনি জানান, “আমি সবসময় নিজের সামর্থ্যের চেয়ে কম খরচ করার চেষ্টা করি। ছোটবেলা থেকেই আমার বাবা-মা অর্থের গুরুত্ব বোঝাতে শিখিয়েছেন।”
কেকি শিশু অভিনেত্রী হিসেবে জনপ্রিয়তা পান ‘আকিলা অ্যান্ড দ্য বি’, ‘বার্বারশপ ২’, এবং ‘মেডিয়ার ফ্যামিলি রিইউনিয়ন’-এর মতো সিনেমায় কাজ করে। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তার আয় এক মিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যায়।
তিনি জানান, সে সময় তার মা-বাবার বার্ষিক আয় ছিল মাত্র ৪০,০০০ ডলার। তাই তার এই সাফল্য পরিবারে বড় পরিবর্তন এনে দেয়। তবে পরিবার অর্থ সঞ্চয় ও খরচ বাঁচানোর বিষয়ে সচেতন ছিল, এবং কেকি সেটাই শিখে বড় হয়েছেন।
কেকি বলেন, “আমি সবাইকে বিশেষ করে নারীদের বলব, অর্থনীতি ও অর্থ ব্যবস্থাপনা শেখো। শুধু বেঁচে থাকার জন্য খরচ করো না, বরং নিজের পছন্দ অনুযায়ী জীবন গড়ো।”
শুধু কেকি পামার নন, অনেক সফল মানুষই সাধারণ জীবনযাপন করেন। যেমন: বিলিয়নিয়ার ওয়ারেন বাফেট ১৯৫৮ সালে মাত্র ৩১,০০০ ডলার দিয়ে কেনা বাড়িতেই থাকেন। তিনি দামি গাড়ির বদলে পুরনো গাড়ি চালাতে পছন্দ করেন।
তার ভাষায়, “বেশি টাকা খরচ করলেই জীবন সুখের হয় না। বরং ঝামেলা বাড়ে।”
মার্ক কিউবান, যিনি ‘শার্ক ট্যাংক’ শো-তে ছিলেন, তিনিও কম খরচে জীবন কাটান। তিনি একসময় নিজের সফটওয়্যার কোম্পানি বিক্রি করে মিলিয়ন ডলার আয় করলেও ‘ছাত্রজীবনের মতো সাদাসিধে’ জীবন চালিয়ে যান।
অর্থ থাকলেই তা দেখিয়ে চলতে হবে—এমন নয়। বরং কম খরচে বুদ্ধিমানের মতো জীবন কাটানোই প্রকৃত সাফল্যের চাবিকাঠি।
আরএ/এসএন