বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি উৎপাদন ও উন্নয়নমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসী, কোনো শিল্প বন্ধ করা তাদের নীতির অংশ নয়। তিনি জানান, সরকার গঠনের সুযোগ পেলে বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৫টি পাটকল পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেবে বিএনপি। পাশাপাশি শ্রমিকদের সকল বকেয়া পরিশোধও করা হবে।
শুক্রবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের মম ইন কনভেনশন হলে ‘কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, অনেক দল অনেক কথাই বলবে। তাদের অতীত ইতিহাস দেখে তাদের বিশ্বাস করবেন। এক্ষেত্রে জনগণ দেশের অধিকতর উন্নয়নের স্বার্থে সবার প্রথমে বিএনপিকে সবাই বেছে নেবে।
এ সময় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ববি হাজ্জাজ বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা ভবিষ্যৎ রাজনীতির দর্শন। দেশে বিগত বছরগুলো বেশি নির্যাতিত হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান। আমরা সবার আগে ভোটের অধিকার চাই। আমরা চাই নির্বাচিত সরকার ভোটের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করুক।
সেমিনারে আরও বক্তৃতা দেন- অস্ট্রেলিয়ার ওয়াটার স্ট্র্যাটেজিক অ্যানালিস্ট ড. ফয়সাল কবীর শুভ, বিশিষ্ট গণমাধ্যমকর্মী কাজী জেসিন, আবহাওয়া গবেষক ও সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের মোস্তফা কামাল পলাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র অধ্যাপক ড. রিদওয়ানুল হক, এইচআর বিশেষজ্ঞ শারমিন সুলতানা জয়া এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জুলকারনাইন জাহাঙ্গীর।
সেমিনারে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার পাঁচ শতাধিক দল নিরপেক্ষ নাগরিক অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত তরুণ ও অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তাদের প্রশ্ন করেন ও মতামত জানান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু ও মাহবুবুর রহমান, রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম ওবায়দুর রহমান চন্দন (রাজশাহী), এম এ খালেক ও অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম (রংপুর), বিএনপির সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সহ-সম্পাদক রায়হান আমিন রনি, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
আরএ/এসএন