এক যুগ পর গ্রেফতার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি

বরগুনায় বহুল আলোচিত কলেজছাত্র অনিক হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সালাউদ্দিন গাজীকে এক যুগ পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৩ মে) রাতে বরগুনার তালতলী উপজেলার ফকিরহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান।

অভিযুক্ত সালাউদ্দিন গাজী বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের কাঠালতলী গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বরগুনা পৌরসভার শহীদ স্মৃতি সড়কে কলেজছাত্র অনিককে কোমল পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে ডিশ লাইনের তার গলায় পেচিঁয়ে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর অনিকের বাবার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অভিযুক্তরা। ঘটনার ১৮ দিন পর বরগুনা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের পুরাতন ভবনের পাশের সেপটিক ট্যাংক থেকে অনিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত অনিকের বাবা সুবল চন্দ্র রায় মো. সালাউদ্দিন গাজীসহ ৬ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ৭ আগস্ট বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ মামলার রায় প্রদান করেন। রায়ে সালাউদ্দিন গাজীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাথে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন ও তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়। রায়ের আগে থেকেই মামলার ১ নম্বর আসামি সালাউদ্দিন গাজী পলাতক ছিলেন।

তিনি পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে আত্মগোপনে থাকলেও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অভিযুক্ত সালাউদ্দিন গাজীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। এ দিকে আসামির মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন নিহত অনিকের পরিবার।

নিহত অনিকের বাবা সুবল চন্দ্র রায় বলেন, ‘এতদিন অআমার ছেলের হত্যাকারী পলাতক ছিল।

পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। এতে আমি খুশি। তবে তার বিরুদ্ধে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানাই।’

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সালাউদ্দিন গাজি দীর্ঘদিন ভারতে পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। তবে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি সালাউদ্দিন গাজীকে তালতলীর ফকিরহাট এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এসএম/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শিরোপা ধরে রাখার মিশনে আলকারাজ, চ্যালেঞ্জে সিনার ও জোকোভিচ May 25, 2025
img
পেন্টাগনে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় আঘাত’ বলছে প্রেস অ্যাসোসিয়েশন May 25, 2025
img
পাঁচ অভিযোগে ময়মনসিংহের ছাত্র আন্দোলনের নেতা বহিষ্কার May 25, 2025
img
মায়ানমারে পাচারের সময় ৩৪০ বস্তা সিমেন্টসহ আটক ৫ May 25, 2025
img
জাপানের ৮৫ শতাংশ বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাবে সোলার প্যানেল May 25, 2025
img
পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প May 25, 2025
img
বিশ্ববাজারে বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম May 25, 2025
img
গুপ্তচর সন্দেহে ১০ জনের বেশি ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছে মোদি সরকার May 25, 2025
img
হজে অংশ নিতে সৌদি পৌঁছেছেন ৮ লাখ ২০ হাজার মুসল্লি May 25, 2025
img
সান্তিয়াগো বের্নাব্যুতে আনচেলত্তি ও মদ্রিচকে বিদায় জানালো রিয়াল May 25, 2025
img
রোববার চট্টগ্রামের ৮ উপজেলায় হাসনাতের পথসভা May 25, 2025
img
দ. আফ্রিকায় সোনার খনি থেকে ২৬০ শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার May 25, 2025
img
পাকিস্তান থেকে ছাড়া পেয়ে পরিবারের কাছে বিএসএফ জওয়ান May 25, 2025
img
স্ত্রীসহ সাবেক হুইপ আতিউর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা May 25, 2025
img
জনগণ দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টাদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না : আমিনুল হক May 25, 2025
img
সাকিবকে ছাড়িয়ে গেলেন মুস্তাফিজ May 25, 2025
img
পাকিস্তানকে যে বড় সুখবর দিল কুয়েত May 25, 2025
img
কোনো অদৃশ্য ইশারায় কাঙ্ক্ষিত বিচারপ্রক্রিয়া থমকে আছে: হাসনাত May 25, 2025
ক্ষমতার স্বাদে মত্ত অন্তর্বর্তী সরকার: সুব্রত চৌধুরী May 25, 2025
জুলাই ঐক্য নষ্ট করছে এনসিপি: ইনকিলাব মঞ্চ May 25, 2025