গবেষকদের ওপর আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
রবিবার (২৫ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) রিসার্চ সিস্টেমের (সাউরেস) বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ ওয়ার্কশপ-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. বেলাল হোসাইন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল বাশার এবং সভাপতিত্ব করেন শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কম সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও নীরবে-নিভৃতে গবেষণা করে যাচ্ছেন।
গবেষকদের ওপর আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ দুঃখজনক। দেশে সব গবেষণার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা হচ্ছে কৃষিতে। এর আগে কোনো সরকার এত অল্প সময়ের মধ্যে অর্ধশতাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নিয়োগ করতে পারেনি। এবারের নিয়োগে কোনো দল-মত দেখা হয়নি।
এই প্রথমবারের মতো তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা ও একাডেমিক প্রফাইল দেখে।’
তিনি বলেন, ‘গবেষণার যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষকদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। অনেকেই প্রশ্ন করেন, এবারও বাজেট গতানুগতিক হচ্ছে, শিক্ষা ও গবেষণায় বাজেট কম কেন। কিন্তু বাজেট গতানুগতিক ধারায় করতে বাধ্য হচ্ছি কারণ চলমান প্রকল্পগুলো বন্ধ করে নতুন শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন বাজেট দেওয়া সম্ভব নয়।
সে ক্ষেত্রে সেই প্রকল্পগুলো শেষ হলে অন্তত দুই বছর পর নতুন ধারায় বাজেট প্রণয়ন করা সম্ভব।’
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকরা নিয়মিতভাবে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ সংকুলান হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠটি আমাদেরই ছিল। সেই মাঠটি আবার ফেরত পেলে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম আরো বিস্তৃত হবে।
টিকে/টিএ