পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের আদালতের কোনো রায় বা নির্দেশনা দেশের বাইরে বাস্তবায়ন করতে হলে আন্তর্জাতিক নিয়ম ও চর্চা মেনেই তা করতে হয় বলে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের টেরিটরির বাইরে আমরা বাংলাদেশের কোনো আইন ‘এজ ইট ইজ’ কোর্ট যেভাবে করতে চাইবে, সেভাবে করতে পারবো না—যতক্ষণ পর্যন্ত যার বিরুদ্ধে এই নির্দেশনা আছে, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ভেতরে না থাকে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে কোর্টের নির্দেশনা আমরা সাথে সাথে কার্যকর করতে পারি। কিন্তু যদি সেটা বিদেশে হয়, তাহলে সেখানে আমাদের কোর্টের রায় বা নির্দেশনা সরাসরি প্রযোজ্য হয় না। এক্ষেত্রে কোর্টের নির্দেশনা পাঠানোর একটি ইউনিভার্সাল ফরম্যাট ও নর্মস আছে। আমরা সেই আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই কোর্টের রায় কার্যকর করার চেষ্টা করছি।”
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “আমরা যে আন্তর্জাতিক নিয়ম বা প্র্যাকটিস আছে—যেমন: কোনো কোর্টের সামনে কিংবা কোনো দেশের কোর্টের ডাইরেক্টিভ অন্য দেশে পাঠানো এবং সেই দেশকে অনুরোধ করা, যেন সেই আদেশ কার্যকর করা হয়—আমরা সেই ফরম্যাট মেনেই কোর্টের রায় কার্যকর করছি।”
ভারতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “ভারতে যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় বা অপপ্রচার চালায়, তাদের বিষয়ে আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে সাধারণভাবে বলে থাকি। কারণ আমাদের মধ্যে ‘গুড নেইবারলি রিলেশনশিপ’ বা সুসম্পর্কের একটা বিষয় রয়েছে। আমরা বলি, আপনারা যেন এমন কাউকে প্রশ্রয় বা আশ্রয় না দেন, যারা বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কাজ করে, সরকার বা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় কিংবা ক্ষতি করতে চায়।”
তিনি যোগ করেন, “এই প্রচেষ্টা আমাদের সবসময়ই থাকে। আমরা কোনো নির্দিষ্ট একটি কেস নিয়ে আলাদা করে কিছু বলি না। তবে সামগ্রিকভাবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে এই বার্তা দিয়ে থাকি, যেন তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বা ক্ষতি করার চেষ্টা করে—এমন কাউকে প্রশ্রয় না দেয়।”
আরএ/এসএন