সৌদি প্রো লিগের মৌসুম শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক রহস্যময় বার্তায় পর্তুগালের কিংবদন্তি ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জানিয়েছেন, ‘এই অধ্যায় শেষ।’ তবে কি ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতেই আল নাসর ছাড়ছেন এই পর্তুগিজ মহাতারকা?
সোমবার (২৬ মে) আল নাসরের জার্সিতে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি আরো বলেন, ‘তবে গল্প? এখনো লেখা হচ্ছে। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
অধ্যায় শেষ বলতে রোনালদো কী বুঝিয়েছেন তাই এখন সামাজিক মাধ্যমের সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে বুট জোড়া যে এখনই তুলে রাখছেন না তা পরের লাইনে পরিষ্কার করে রেখেছেন এই মহাতারকা।
লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে—মোট ২৪ গোল করে মৌসুম শেষ করলেও রোনালদোর দল আল নাসর এবার তেমন কিছু করতে পারেনি। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে জাপানের কাওাসাকি ফ্রন্টালের কাছে হেরে বিদায় নেয় তারা। লিগও শেষ করেছে তৃতীয় স্থানে থেকে।
গত বছর রোনালদো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ক্যারিয়ারের শেষটা তিনি আল নাসরেই করতে চান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে।
এদিকে, ক্লাব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ৩২টি ক্লাবের সুবিধার জন্য ১ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত একটি বিশেষ ট্রান্সফার উইন্ডো চালু করছে ফিফা। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো অনলাইন স্ট্রিমার আইশোস্পিডকে জানিয়েছেন, এই সময়ে রোনালদোর কোনো একটি ক্লাবে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।
স্পিডকে ইনফান্তিনো বলেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে পারেন। কিছু ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখনো সময় আছে, দেখা যাক কী হয়। এটা হবে দারুণ একটা ব্যাপার।’
এই গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরে অনুষ্ঠিতব্য ৬৩ ম্যাচের টুর্নামেন্টের আকর্ষণ বাড়াতে রোনালদোর মতো তারকাকে মাঠে দেখা গেলে সেটা ফিফার জন্যও লাভজনক হবে।
একইসঙ্গে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আবারও লিওনেল মেসি ও রোনালদোর মুখোমুখি হওয়ার।
গুঞ্জন রয়েছে, সৌদি আরবের একমাত্র অংশগ্রহণকারী ক্লাব আল হিলাল, ব্রাজিলের পালমেইরাস এবং মরক্কোর উইদাদ কাসাব্লাঙ্কা রোনালদোকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী।
বিশেষ নিয়মে ১-১০ জুন ও ২৭ জুন-৩ জুলাই পর্যন্ত দুটি ট্রান্সফার উইন্ডো চালু থাকবে।
ফিফা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘উদ্দেশ্য হচ্ছে—যেসব খেলোয়াড়ের চুক্তি শেষ হচ্ছে, তাদেরকে ক্লাব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণে উপযুক্ত সমাধান দেওয়া।’
রোনালদো কি তবে ক্লাব বিশ্বকাপে অন্য কোন দলের হয়ে বিশ্বমঞ্চে ঝলক দেখাবেন? উত্তরের জন্য অপেক্ষা এখন কয়েক সপ্তাহের।
এসএম/এসএন