বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম মৃত্যুদণ্ডের সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার কথিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তৎকালীন বিচারকরা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
ছাত্র-জনতার তীব্র গণআন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতন হলে আস্তে আস্তে তাদের কুর্কীতিগুলো সামনে আসতে থাকে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মামলা করে যে জেল-জুলুম করা হচ্ছিল, তারও অবসান ঘটতে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় অবশেষে অভিযোগমুক্ত হলেন এটিএম আজহার।
বিষয়টি নিয়ে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম কারিগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
পোস্টে তিনি বলেন, ‘জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম নিরপরাধ প্রমাণিত হয়ে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। প্রধান বিচারপতি এটিএম আজহার ভাইয়ের পূর্ববর্তী রায়ের বিষয়ে মন্তব্য করেন, বিচারটি ‘গ্রস মিসকারেজ অব জাস্টিস' হয়েছে।
"Gross Miscarriage of Justice" বলতে বোঝানো হয়, যখন কোনো বিচারিক প্রক্রিয়ায় গুরুতর ভুল হয়, যা বিচারপ্রার্থীর অধিকার ক্ষুণ্ন করে এবং ন্যায়বিচারের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত করে। যার ফলে নির্দোষ ব্যক্তি শাস্তি পায় এবং প্রকৃত অপরাধী মুক্তি পেয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য হাসিনার একটা চক্রান্ত ছিল, তা এখন পুরো জাতির কাছে স্পষ্ট। এখন সময় এসেছে, পূর্ববর্তী রায়গুলোর আইনগত রিভিউ নিশ্চিত করে শাহবাগের অবিচারের বিপরীতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই বিগত সকল বিচারিক জুলুমকে আনুষ্ঠানিকভাবে একনলেজ করার।’
এমআর/টিএ