শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকেই বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে। যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছুটা ইঙ্গিত ছিল, এবার রাজধানীতে তারা যেন সরাসরি মুখোমুখি।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর, ভিন্ন প্রেক্ষাপটে একসঙ্গে রাজধানীতে সমাবেশ করেছিল জামায়াত ও বিএনপি। তবে এবার পরিস্থিতি আলাদা—নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে দুই দলের পারস্পরিক দূরত্ব। সকালেই রাজধানীতে তাদের আলাদা সমাবেশ সেই বার্তাই যেন স্পষ্ট করে দিচ্ছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বুধবার (২৮ মে) ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ করবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। সমাবেশে ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে ১৫ লাখ তরুণের জমায়েত আশা করছেন আয়োজকেরা।
অপরদিকে দীর্ঘ কারাবাসের পর মুক্ত বাতাসে ফিরছেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহার। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ থেকে খালাস পেয়ে মুক্ত হতে যাচ্ছেন জামায়াতের এই প্রভাবশালী নেতা। তাকে বরণ করতেই শাহবাগে শোকরানা সমাবেশের আয়োজন করেছে জামায়াতে ইসলামী।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াত জানায়, ‘২৮ মে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তদানীন্তন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ। এ উপলক্ষ্যে মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে সকাল সাড়ে ৯টায় আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভ্যর্থনা জানানো হবে।’
শাহবাগে শোকরানা সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোতে বার্তা পাঠিয়েছে জামায়াত। এর আগে জামায়াত কোনো নেতার কার মুক্তিতে এমন আয়োজন করেনি। তাই সমাবেশ ঘিরে বিশাল প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।
আরএ