খালি গা। হেলমেটের বালাই নেই! হিমাচল প্রদেশ থেকে সোনু সুদের ‘রোমাঞ্চকর’ বাইক রাইডিংয়ের ভিডিও ভাইরাল হতেই পুলিশি বিপাকে পড়েন অভিনেতা। যার জেরে দুঃস্থদের ‘মসিহা’ থেকে পুলিশের চোখে একেবারে সোজা ‘ভিলেন’ হয়ে যান তিনি। বিতর্ক তুঙ্গে উঠতেই এবার ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করতে মাঠে নামলেন সোনু।
হিমাচলপ্রদেশের স্পিতি ভ্যালিতে খালি গায়ে বীরবিক্রম অবতারে একেবারে বলিউডি ধাঁচে বাইক চালাচ্ছিলেন। মাথায় ছিল না হেলমেট। পাহাড়ি এলাকায় সোনুর এহেন ‘হিরোগিরি’ দেখে চোখ কপালে উঠেছে জনসাধারণের! আদুল গা। শরীরের উর্ধ্বাঙ্গে কাপড়ের লেশমাত্র নেই। পরনে শুধু শর্টস। আর চোখে রোদচশমা। আপাতদৃষ্টিতে ভিডিওটি দেখে মনে হবে, সোনু সম্ভবত কোনও বলিউড ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত। ক্যাপশনে লেখা- ‘এটা স্পিতি ভ্যালি, এখানে আসল লোকেরাই বাইক চালায়।’
ইনস্টাগ্রামে সেই ভিডিও দাবানল গতিতে ভাইরাল হতেই অভিনেতার কান্ডজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যে অভিনেতা নিজে ‘সেফ ড্রাইভ, সেফ লাইফ’-এর প্রচার করেন, তিনি নিজে কীভাবে এমন কান্ডজ্ঞানহীন কাজ করলেন? এহেন প্রশ্নে তোলপাড় নেটভুবন! নেটপাড়ার একাংশ আবার, স্পিতি ভ্যালি পুলিশকে ট্যাগও করেছেন তাঁদের প্রতিবাদী পোস্টে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পুলিশ বিবৃতি জারি করতেই এবার মুখ খুললেন অভিনেতা।
সোনু সুদের মন্তব্য, “আগে সুরক্ষা। আমি সবসময়ে আইন মেনে চলার পক্ষপাতী। হেলমেট ছাড়া বাইক চালানোর ওই ভিডিও পুরনো। এবং চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই হেলমেট ছাড়া শুটিং করা। তাই দয়া করে এটা নিয়ে এত ভাববেন না। স্মার্টভাবে সাবধানে বাইক চালান। আর সবসময়ে হেলমেট পড়ুন।” জানা গিয়েছে, সোনু সুদের এই বিতর্কিত ভিডিও ২০২৩ সালে শুট করা। তৎসত্ত্বেও রেয়াত করেনি স্পিতি পুলিশ। একটি বিবৃতি জারি করে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় সোনু সুদকে। সেই বিবৃতিতে উল্লেখ, “জনৈক বলিউড অভিনেতার বাইক রাইডের একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যিনি লাহুল-স্পিতি এলাকার ট্রাফিক আইন ভেঙেছেন। ইতিমধ্যেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখছে কেলাং ডিওয়াইএসপি হেডকোয়ার্টার। এই ভিডিওর এক্ষেত্রে আইনি যথাযোগ্য পদক্ষেপ করব আমরা। লাহুল-স্পিতিতে ঘুরতে আসা সমস্ত পর্যটকদের ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি। আশা করি, ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল নাগরিকদের মতো আচরণ করবেন আপনারা।” এই বিবৃতির পরই সাফাই দিলেন সোনু সুদ।
আরআর/টিএ