গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পরিবর্তন আসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি)। বিসিবিতে শেষ হয় নাজমুল হাসান পাপনের দীর্ঘ এক যুগের রাজত্বের। এরপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক হিসেবে বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক আহমেদ। কিন্তু গত নয় মাসে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের নাম। যার প্রেক্ষিতে সভাপতির পদ নিয়ে নতুন করে গুঞ্জন দানা বেঁধেছে।
দেশের একটি প্রথম সারির গণমাধ্যমের দাবি, গতকাল বুধবার (২৮ মে) যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেই সাক্ষাতেই তার প্রতি বার্তা দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা–বিসিবির শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনতে চান তারা।
গণমাধ্যমটির কাছে ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি স্বীকার করলেও কী আলোচনা হয়েছে তা জানাননি বিসিবি সভাপতি।
তবে আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডে সরকার বা অন্য কেউ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার খড়গে পড়তে হবে। এর আগে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছিল। তাই ফারুক আহমেদ নিজে থেকে পদত্যাগ না করলে জোরপূর্বক হস্তক্ষেপ হলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার জালে আটকা পড়তে পারে বিসিবিও।
গণমাধ্যমটির খবর অনুযায়ী, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে ভাবনা-চিন্তার জন্য দুই-তিনদিন সময় চেয়েছেন ফারুক। তবে তাকে কেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আর দায়িত্বে দেখতে চায় না তার কোনো ব্যাখ্যা নাকি পাননি তিনি।
এদিকে, ফারুকের জায়গায় আরেক সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল দায়িত্ব পেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। দেশের টেস্ট ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান বুলবুল বর্তমানে আইসিসিতে কর্মরত। তবে আগামী মাসেই সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। চুক্তিভিত্তিতে তিনি দায়িত্ব নিতে রাজি বলে জানা গেছে।
এসএম/টিএ