পুত্রবধূ মিন্নির গ্রেপ্তার ও রিমান্ড চান শ্বশুর

বরগুনায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার শিকার রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম তাঁর পুত্রবধূ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির গ্রেপ্তার দাবি করেছেন। শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দুলাল শরীফ অভিযোগ করেন, রিফাত হত্যাকাণ্ডে তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি জড়িত। তিনি এ পেছনের ১০টি কারণ উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, নয়নের সঙ্গে বিয়ের ঘটনা মিন্নি ও তার পরিবার ‘সুকৌশলে’ গোপন করে গেছেন। ওই বিয়ে বহাল থাকা অবস্থায় শরিয়া বহির্ভূতভাবে মিন্নি তার ছেলেকে বিয়ে করেছেন।

“রিফাতের সঙ্গে বিয়ের পরও মিন্নি নয়নের বাসায় আসা-যাওয়া ও যোগাযোগ রক্ষা করতেন।”

তিনি বলেন, রিফাত হত্যার আগের দিন ২৫ জুলাই মিন্নি নয়নের বাসায় গিয়েছিলেন। মিন্নি প্রতিদিন একা একা কলেজে গেলেও ২৬ জুলাই রিফাতকে ডেকে কলেজে নিয়ে গেছেন।

রিফাত তার স্ত্রী মিন্নিকে নিয়ে মোটরসাইকেলে চলে আসতে চাইলেও মিন্নি কৌশলে কালক্ষেপণ করেছেন বলে দুলাল শরীফের দাবি।

তিনি বলেন, রিফাতকে যখন রিশান ফরাজী দলবল নিয়ে জাপটে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন মিন্নি স্বাভাবিকভাবে হাঁটছিল। রিফাতকে কোপানোর সময় মিন্নি আসামিদের জাপটে ধরলেও মিন্নিকে আসামিরা কোপায়নি। “আহত রিফাতকে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা না করে মিন্নি তার জুতা ও ব্যাগ ওঠাতে ব্যস্ত ছিল। আহত রিফাতকে বরিশাল নেয়া হলেও মিন্নি তার সঙ্গে যায়নি।”

দুলাল শরীফ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তার বিশ্বাস পুলিশ মিন্নিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে (রিমান্ড) নিলে এ হত্যাকাণ্ডের সত্যতা তথা প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে।

এ ব্যাপারে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, নয়ন বন্ডের সঙ্গে তার বিয়ে হয়নি। জোরপূর্বক কাবিনে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, খুনিদের বাঁচানোর জন্য তাকে জড়ানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বেলা তিনটার দিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: