এভার কেয়ার হাসপাতাল, চিকিৎসা শেষে বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ!

চিকিৎসা শুরুর আগে বলা হয় এক কথা! আবার চিকিৎসা শেষে ধরিয়ে দেয়া হয় আরেক বিল। এই টেস্ট সেই টেস্টের নামে ফাইল ভর্তি করে ফেলা হয়।

এমন একটি ঘটনা বৃহস্পতিবার (২৯ মে ) দেখা যায় এভার কেয়ার হাসপাতালে।

ভুক্তভোগী রোগী দিল আফরোজ -এর স্বজনরা জানান, ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার প্যাকেজে চিকিৎসা করাতে গিয়ে হাসপাতাল ছাড়ার সময় দেখতে পান তাদেরকে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে ৩ লাখ টাকার কাছাকাছি প্যাকেজ।

"নন কমপ্লিকেটেড -প্যাকেজের জায়গায় 'কমপ্লিকেটেড প্যাকেজ' নামে - অতিরিক্ত বিল ফর্দ হাজির করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

দেখা যায়, ঘটনা ধরার পর -হাসপাতালের একপক্ষ আরেক পক্ষকে দুষছেন। তবে রোগীকে বিল দিতেই হবে ছাড়ছেন না। শেষমেষ ডিসকাউন্ট করে দিতে চান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রোগের স্বজনরা সেটা মানেননি।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে এমন অভিযোগ হওয়ার হামেশা আসছে। এমনিতেই সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ তিনগুণ বা ১০ গুণ বেশি মূল্য রাখার অভিযোগ। তার উপর বিল নিয়ে এ ধরনের জালিয়াতি বা প্রতারণার ঘটনা রোগীর সঙ্গে ঘটছে।

হাসপাতালে চিকিৎসার নামে প্রতারণার এমন অহরহ ঘটনা চোখের সামনে ধরা পড়ছে। উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য একটু বেশি টাকা হলেও অনেকেই এখানে এসে চিকিৎসা শেষ লাখ লাখ টাকার অপ্রত্যাশিত বিল ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট একজন ডাক্তার সাদিয়া হাসপাতালেই বাংলাদেশ টাইমসকে জানান, তার এখানে কিছু করার নেই। ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কিন্তু ম্যানেজমেন্ট কোথায় সেটাও জানাননি।

অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টে গেলে বলা হয়- ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) যোগাযোগ করতে। আবার ওটি থেকে বলা হয় ডাক্তার লিখে দিয়েছে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

অতিরিক্ত বিল নিয়ে নিজেদের মধ্যেই ঠেলাঠেলি দেখা গেল এভারকেয়ারের ভেতরে।

হাসপাতালের সেবা নিতে আসা আরেকজন ভুক্তভোগী জানান, দুটি টেস্ট বাবদ সম্পূর্ণ খরচ তাকে বলা হয় ৩৩ হাজার টাকা। অথচ এই দুটি টেস্ট সরকারি বা অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালে মাত্র তিন হাজার টাকার মধ্যে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩৩ হাজার টাকায় রাজি হন। পরে দেখা যায় টেস্ট শেষে আবার ডাক্তারকে দেখানোর জন্য আলাদা করে ফ্রি দিতে হচ্ছে। এভাবে বাড়তি এবং হিডেন চার্জ কেটে রাখছে হাসপাতালটি।

এফপি/ টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আদালতকেন্দ্রিক ড্রামায় শাহ্‌ বানু চরিত্রে ইয়ামি গৌতম Sep 15, 2025
img
মাঝআকাশে যাত্রীর প্রাণ বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী Sep 15, 2025
রানীর মতো ফিরলেন অপু বিশ্বাস, ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধ ভক্তরা Sep 15, 2025
‘আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম’ হেনস্তা নিয়ে মুখ খুললেন সোহা Sep 15, 2025
আশা টিকে আছে! সুপার ফোরে উঠতে বাংলাদেশের সামনে তিনটি পথ Sep 15, 2025
ইউরোপে তিন পরাশক্তির জয়ের হ্যাটট্রিক Sep 15, 2025
গতকালের ঘটনার যে ব্যাখ্যা দিলেন সূর্যসেন হলের ভিপি Sep 15, 2025
৪৫বছরেও আলোর মুখ দেখেনি কুমিল্লা-ঢাকা সরাসারি রেল যোগাযোগ Sep 15, 2025
রাশিয়া জানালো, ভারত-বিরোধী যে কোনো পদক্ষেপ ফলহীন! Sep 15, 2025
img
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি Sep 15, 2025
img
মহারাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি ঘিরে আসছে শ্রদ্ধার বড় বাজেটের সিনেমা Sep 15, 2025
img
অতিরিক্ত আইজি সরদার তমিজউদ্দীন আহমেদের বিদায় সংবর্ধনা Sep 15, 2025
img
কুয়েতে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতারা Sep 15, 2025
img
আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক Sep 15, 2025
img
বিভিন্ন দূতাবাসে বদলি প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা Sep 15, 2025
img
পিআরের দাবি জানিয়ে নির্বাচন নিয়ে সংশয় তৈরি করা হচ্ছে : আশরাফ উদ্দিন Sep 15, 2025
img
ড. ইউনূসের ডানে-বাঁয়ে গণ্ডগোল, কথার ফুলঝুরি চলছে না : রনি Sep 15, 2025
img
দাবি না মানলে এশিয়া কাপ ছাড়ার কড়া বার্তা পিসিবির! Sep 15, 2025
img
জুলাই সনদ নিয়ে চূড়ান্ত মতামত দেবে বিএনপি, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত Sep 15, 2025
img
জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে সিঙ্গাপুর হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ Sep 15, 2025