আমির খানের ভক্তদের জন্য রয়েছে আরও বড় এক চমক। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে অংশ নিয়ে তিনি প্রকাশ করেছেন নিজের বহুদিনের স্বপ্ন—‘মহাভারত’ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা। এও জানিয়েছেন, এই ছবিটি হতে পারে তার ক্যারিয়ারের শেষ ছবি।
পডকাস্টার রাজ শামানির সঙ্গে এক আলাপচারিতায় আমির বলেন, “মহাভারত বানানো আমার বহুদিনের স্বপ্ন। আমি সিতারে জমিন পার মুক্তির পরপরই এই প্রজেক্টে হাত দেব। আমার মনে হয়, এই প্রকল্পটি এমন এক জার্নি হবে, যেটা একবার করলে মনে হতে পারে, আর কিছু করার বাকি নেই।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এটা এমন এক গল্প—যার মধ্যে আবেগ, বিশালতা, জটিলতা সবকিছুই আছে। দুনিয়ার যত কিছু আছে, সব কিছুই আপনি মহাভারত-এ খুঁজে পাবেন।”
এই কথোপকথনে খান স্বীকার করেন, মহাভারত নির্মাণের পর হয়তো তিনি আর কিছু করতে চাইবেন না। তিনি বলেন,
“আমি আশা করি আমি কাজ করতে করতেই মারা যাব কিন্তু আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন, তাহলে বলব, মহাভারত বানানোর পর হয়তো আমার মধ্যে এমন অনুভব আসবে—‘এই শেষ, আর কিছু করার নেই।’ তবে নিশ্চিত না, সময়ই বলে দেবে।”
এই মন্তব্যে খান ভক্তদের মধ্যে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই একদিকে যেমন মহাভারত নিয়ে সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা নিয়ে উচ্ছ্বসিত, তেমনি অনেকে উদ্বিগ্ন—এই প্রজেক্টটি যদি তার শেষ সিনেমা হয়!
এর আগে দ্য হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়া-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খান বলেন, “মহাভারত এক সিনেমায় বলা যাবে না। তাই আমরা একাধিক সিনেমায় গল্পটি বলব। হতে পারে একাধিক পরিচালকও লাগবে। যদি একের পর এক করি, তাহলে অনেক সময় লাগবে। লর্ড অফ দ্য রিংস-এর মতো সব একসঙ্গে শুট করার পরিকল্পনাও করতে পারি।”
তবে , আমির খানের পরবর্তী ছবি ‘সিতারে জমিন পার’ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে। ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তারে জমিন পার’-এর একটি রূপক ‘সিক্যুয়েল’ হিসেবে বিবেচিত এই ছবিতে আমির খানকে দেখা যাবে এক বাস্কেটবল কোচের চরিত্রে, যেখানে তার সঙ্গে আছেন অভিনেত্রী জেনেলিয়া ডি’সুজা। ছবিটি ২০ জুন মুক্তি পেতে চলেছে।
এসএম