বাজেটে শুল্ক-করের কাঠামোয় আসতে পারে বড় পরিবর্তনের প্রস্তাব

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে নতুন বাজেটে শুল্ক যৌক্তিকীকরণের প্রস্তাব করতে পারেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্নখাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ না বাড়ানো ও কর ছাড় সুবিধা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার কথাও বলতে পারেন তিনি। কাস্টমস ব্যবস্থাপনাকে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাইজেশন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে শুল্ক কমানোর নির্দেশনাও থাকতে পারে।

আগের সরকারের ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকারও এলডিসি উত্তরণ যাত্রা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী বছরের নভেম্বরে হবে চূড়ান্ত উত্তরণ। এর ফলে বাণিজ্য সুবিধা কমে আসার পাশাপাশি বিদেশি পণ্য দেশে প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে সুরক্ষা দেয়া যাবে না স্থানীয় শিল্পকে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আগামী অর্থবছরে বিদ্যমান ছয় স্তর বিশিষ্ট শুল্ক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করে একটি নতুন স্তর যুক্ত করার প্রস্তাব করতে পারেন অর্থ উপদেষ্টা। একইসঙ্গে আমদানি পর্যায়ে ১২ স্তর বিশিষ্ট সম্পূরক শুল্কহারের পাশাপাশি নতুন একটি সম্পূরক শুল্কহার নির্ধারণের প্রস্তাব থাকতে পারে। তবে অপরিবর্তিত থাকতে পারে নিত্যপণ্যে শূন্য শুল্ক।

আমদানি পণ্যের শুল্ক-কর পর্যায়ক্রমে কমানো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১১০ টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, ৬৫টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস, ৯টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার এবং ৪৪২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব করতে পারেন অর্থ উপদেষ্টা।

ট্যারিফ যৌক্তিকীকরণের অংশ হিসেবে ৮৪ টি পণ্যের ন্যূনতম মূল্য প্রত্যাহার এবং ২৩টি পণ্যের ন্যূনতম মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকতে পারে। এতে এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী বিদ্যমান ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি সম্পূর্ণরূপে বাতিলের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হবে।

বিভিন্নখাতে কর অব্যাহতির সুবিধার মেয়াদ ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখের পর আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এছাড়া দীর্ঘসময় ধরে কর অব্যাহতি এবং হ্রাসকৃত হারে কর প্রদানের সুবিধাও বাতিল করার প্রস্তাব করতে পারেন অর্থ উপদেষ্টা।

আরআর/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাজ্য Jun 05, 2025
img
নিজের আইডল রোনালদোর সঙ্গে ছবি তুলে আলোচনায় জার্মান ফুটবলার Jun 05, 2025
img
শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ স্কিমে বাংলাদেশ–দক্ষিণ কোরিয়ার সমঝোতা স্বাক্ষর Jun 05, 2025
img
দুই সন্তানের সীমা বাতিল করেছে ভিয়েতনাম: রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম Jun 05, 2025
img
নদী বাঁচাতে ঈদযাত্রায় প্লাস্টিককে ‘না’: লঞ্চঘাটে বিশেষ প্রচারাভিযান Jun 05, 2025
img
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যা: প্রস্তুতিতে ৫৫ মিলিয়ন ডলার সংকটে ডব্লিউএফপি Jun 05, 2025
img
তদন্ত প্রতিবেদনে নাসুমের ঘটনা ফাঁসে তামিমের নাম! Jun 05, 2025
img
১২ ঘন্টায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করবে ডিএসসিসি Jun 05, 2025
img
‘ব্যথায় কাঁদছে’—চাহালের দুঃসময় নিয়ে মুখ খুললেন মহওয়াশ Jun 05, 2025
img
রাজধানীতে পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুত ২০ হাজার ২৬৭ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী Jun 05, 2025
img
দুদু-বুলুকে বিএনপির লিখিত সতর্কবার্তা Jun 05, 2025
img
দ্য রাজা সাব’ ছবির জন্য পারিশ্রমিক কমালেন প্রভাস, নিচ্ছেন ১০০ কোটি Jun 05, 2025
img
আরাফার ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে নিমগ্ন বাংলাদেশি হাজিরা Jun 05, 2025
img
শ্রীলঙ্কা সিরিজের টেস্ট দলে জায়গা হয়নি সোহানের, ওয়ানডেতে সুযোগের সম্ভাবনা Jun 05, 2025
img
ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৪৩ ফিলিস্তিনির Jun 05, 2025
img
গাইবান্ধায় নিষিদ্ধ পলিথিনের গোডাউনে সেনাবাহিনীর অভিযান Jun 05, 2025
img
ঘোস্ট হারিকেন: মডেলের ভুল পূর্বাভাসে বিভ্রান্তি Jun 05, 2025
img
ডেম্বেলেই এবারের ব্যালন ডি’অরের যোগ্য দাবিদার: দেশম Jun 05, 2025
img
চলতি মৌসুমে হজ করেছেন ৬ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি Jun 05, 2025
img
ঈদ উপলক্ষে বিএনপির বিশেষ কর্মসূচি Jun 05, 2025