কন্নড় ভাষাকে অপমান করার অভিযোগ নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা কিংবদন্তি অভিনেতা কমল হাসানের আসন্ন সিনেমা ‘থাগ লাইফ’ আপাতত কর্নাটকে মুক্তি পাচ্ছে না। এই বিতর্কের জেরে ছবি মুক্তি থমকে গেলেও অভিনেতা ক্ষমা চাইতে রাজি নন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) কর্নাটক হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হয়, যেখানে আদালত কমলের ক্ষমা না চাওয়ার সিদ্ধান্তে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। কমল হাসান এই বিতর্ক সমাধান করতে কর্নাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
মঙ্গলবার তার আইনজীবীর মাধ্যমে জানানো হয়, এখনই কর্নাটকে ‘থাগ লাইফ’ মুক্তি পাবে না। এদিন কর্নাটক ফিল্ম চেম্বার অফ কমার্স (কেএফসিসি)-এর ক্ষমা চাওয়ার দাবির জবাবে কমল হাসান একটি লিখিত বিবৃতিও জারি করেছেন।
আদালতের বিচারপতি কমলের ক্ষমা না চাওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘স্ক্র্যাম্বল এগ বানিয়ে ফেললে তাকে তো আর আনস্ক্র্যাম্বল করা যায় না। তেমনই মুখ ফসকে কোনো কথা বেরিয়ে গেলে ফেরানোও যায় না। তবে তার জন্য ক্ষমা চাওয়া যেতেই পারে। কর্নাটকের মানুষ তো শুধু ক্ষমা চাওয়ার দাবিই করেছিল। রাজাগোপালাচারীর মতো মানুষও এইরকম মন্তব্যের জন্য একবার ক্ষমা চেয়েছিলেন। আপনি ক্ষমা চাইবেন না, অথচ ভাববেন কর্নাটকে আপনার সিনেমা চলবে?’
কমল হাসানের আইনজীবীর দাবি, এই মন্তব্যে কাউকে আঘাত করতে চাননি অভিনেতা। তবে বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘পরিস্থিতির শিকার হওয়া আর কোনো পরিস্থিতি তৈরি করা একেবারেই এক বিষয় নয়। আপাতত সমাধানের একটাই উপায়, ক্ষমা চাওয়া। তবে আমরা শুধু নির্দেশ দিতে পারি, কমল হাসান কর্নাটকে প্রোটেকশন পাবেন কি পাবেন না।’
কমল হাসানের মতে, সিনেমা মানুষের মধ্যে সেতু বন্ধন করে। তিনি বলেছেন, ‘আমার বক্তব্য ছিল আমাদের সকলের মধ্যে সিনেমার বন্ধন তৈরি করা। এই ভালোবাসা এবং বন্ধনই আমার সিনিয়ররা আমায় শিখিয়েছিলেন। আমাদের একে অপরের প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা সর্বদা থাকবে এবং আরও দৃঢ় হবে। তাই আমি আশা করব আমার কথাগুলো যে উদ্দেশে বলেছিলাম, সেই ভাবেই গ্রহণ করা হবে।’
এমআর/টিএ