আইপিএলের ইতিহাসে ১৭ আসরে এখন পর্যন্ত শিরোপা জিতেছে সাতটি দল, যার মধ্যে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি আর টিকে নেই। বাকি ছয় চ্যাম্পিয়ন দল এবার অষ্টাদশ আসরের ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারেনি। ফলে প্রথমবারের মতো ট্রফি জয়ের দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংসের সামনে।
লিগপর্বে এই দুই ফাইনালিস্টই ছিল শীর্ষ অবস্থানে। ১৪ ম্যাচে উভয়েরই সমান ৯ ম্যাচে জয়, ৪ হার ও একটি ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে।
আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শুরু হবে অষ্টাদশ আইপিএলের ফাইনাল। এই ম্যাচের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বেঙ্গালুরু-পাঞ্জাব এর আগে প্রথম কোয়ালিফায়ারেও মুখোমুখি হয়েছিল। একপেশে ম্যাচটিতে পাঞ্জাবকে ৮ উইকেটে হারায় বেঙ্গালুরু। পরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে দাপুটে জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে শ্রেয়াশ আইয়ারের পাঞ্জাব।
কোয়ালিফায়ারে খেলা একাদশ নিয়েই আজ ফাইনালে নামতে পারে বেঙ্গালুরু-পাঞ্জাব। অবশ্য উভয় দলেই রয়েছে চোটের অস্বস্তি। সে কারণে ছোটখাটো বদলের সম্ভাবনাও রয়েছে দল দুটির একাদশে। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের জন্য টিম ডেভিডকে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে পায়নি বেঙ্গালুরু।
ফাইনালের লড়াইয়ে তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে তিনি একাদশে ফিরলে কোপ পড়তে পারে লিয়াম লিভিংস্টোনের ওপর।
অস্ট্রেলিয়ান তারকা ডেভিড কয়েক ম্যাচে বেঙ্গালুরুর জয়ে ভূমিকা রেখেছেন। তাই তার ফিট হয়ে ওঠা গুরুত্বপূর্ণ দলটির জন্য।
অন্যদিকে, পাঞ্জাবের তারকা স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালও সাম্প্রতিক সময়ে চোটের সমস্যায় ভুগছেন। চোট সারিয়ে তিনি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পাঞ্জাবের একাদশে ফেরেন। নিজের ৪ ওভারের বোলিং কোটাও পূর্ণ করেছিলেন চাহাল।
তবে ম্যাচ শেষে পাঞ্জাবের বোলিং কোচ জেমস হোপ জানান এই লেগস্পিনার পুরোপুরি ম্যাচ ফিট নন, কিছুটা চোটের অস্বস্তি রয়ে গেছে। তাই পুরো ফিট না হলে গুরুত্বপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে চাহালকে মাঠে নামানোর ঝুঁকি নাও নিতে পারে পাঞ্জাব। সেক্ষেত্রে তারা হারপ্রীত ব্রারকে সুযোগ দিতে পারে।
ফাইনালে বেঙ্গালুরুর সম্ভাব্য দল (ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটারসহ):
ফিল সল্ট, বিরাট কোহলি, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, রজত পাতিদার (অধিনায়ক), লিয়াম লিভিংস্টোন/টিম ডেভিড, জিতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), রোমারিও শেফার্ড, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার, যশ দয়াল, জশ হ্যাজলউড ও সুয়াশ শর্মা।
পাঞ্জাবের সম্ভাব্য দল (ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটারসহ):
প্রিয়াংশ আর্য, প্রভসিমরান সিং, জশ ইংলিস (উইকেটরক্ষক), শ্রেয়াস আইয়ার (অধিনায়ক), নেহাল ওয়াধেরা, শশাঙ্ক সিং, মার্কাস স্টয়নিস, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, বিজয়কুমার বৈশাক, কাইল জেমিসন, আর্শদীপ সিং ও যুজবেন্দ্র চাহাল/হরপ্রীত ব্রার।
এর আগে বেঙ্গালুরু তিন এবং পাঞ্জাব একবার আইপিএলের ফাইনাল খেলেছিল। কিন্তু কেউই চূড়ান্ত সাফল্য’র মুকুট পরতে পারেনি। আজ যেকোনো একটি দলের সেই আক্ষেপ ঘুচবে। শ্রেয়াস আইয়ার নাকি রজত পাতিদার দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন কোন অধিনায়ক শেষ হাসি হাসতে পারে সেটা জানতে আর মাত্র অল্প সময়ের অপেক্ষা! তবে আইয়ার এ নিয়ে তৃতীয়বার ফাইনালে নেতৃত্ব দিতে নামছেন। এরমধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন একবার।
আরএম/এসএন
