দ্রব্যমূল্য, সামাজিক অনাচার ও নানামুখী সংকট সত্ত্বেও দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মন ঈদের আনন্দ ও উচ্ছ্বাসে পরিপূর্ণ। দেড় দশক ধরে জনগণ ফ্যাসিবাদের এক কঠিন সময় পার করেছে। ফ্যাসিবাদের পতনের ফলে এবার কিছুটা স্বস্তির পরিবেশে ঈদুল আজহা উদযাপন করবে জনগণ— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার (৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদীদের অবৈধ ক্ষমতা লোভের ফলে রাষ্ট্র ও সমাজে নীতি-নৈতিকতা, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের চূড়ান্ত অবক্ষয় ঘটে। বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শান্তি, সম্প্রীতি, নৈতিকতা ও বৈষম্য দূর করতে সবাই মিলে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। যাতে লুটপাট, দুর্নীতি ও টাকা পাচারের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
তিনি আরও বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মুসলমানদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি। ঈদুল আজহা অর্থ ত্যাগের উৎসব। ত্যাগ করাই এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। এই ত্যাগের চেতনা সমাজে ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন সৃষ্টি করে। ঈদুল আজহা একটি অঙ্গ হচ্ছে কুরবানী। পশু কুরবানী চিত্তশুদ্ধি ও পবিত্রতার একটি মাধ্যম। এই ত্যাগের চেতনা সমাজে ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন সৃষ্টি করে।
বিবৃতিতে সবশেষ তিনি বলেন, বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সকলের পক্ষে ঈদের আনন্দ যথাযথভাবে উপভোগ করা কঠিন হবে। মূল্যস্ফীতির তীব্রতা, খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের তীব্র সংকটে জনজীবন সীমাহীন দুর্দশায় পতিত। স্বল্প আয়ের মানুষরা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় দিনযাপন করছে। ঈদের আনন্দের দিনে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। এক কাতারে সবাইকে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে হবে।
এমআর