আগামী ৫ দিন পর্যন্ত গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বাড়তে পারে, তবে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। শনিবার (৭ জুন) গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বাড়ছে ।
এদিকে, দেশের পর্যবেক্ষণাধীন ১১৬টি পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে ৩৯টি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, কমেছে ৬ টি স্টেশনের, ৩টি স্টেশনের পানি সমতল অপরিবর্তিত রয়েছে। গেজ পাঠ পাওয়া যায়নি ১২টি স্টেশনের।
মোট তথ্য পাওয়া যায়নি ১২টির, বিপদসীমার ওপরে রয়েছে ৩ টি স্টেশন। অপরদিকে, নদীসংলগ্ন জেলা রয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ এবং বিপদসীমার উপরে রয়েছে সুরমা ও কুশিয়ারা স্টেশন।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপকূলীয় নদী অববাহিকার বরিশাল,খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীসমূহে স্বাভাবিক জোয়ার বিরাজমান আছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া সংস্থার তথ্যানুযায়ী আগামী ৩ দিন বঙ্গোপসাগরে কোনো লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আগামী ৩ দিনে উপকূলীয় নদীসমূহে স্বাভাবিক জোয়ার থাকতে পারে।
এদিকে, সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার সুরমা ও কুশিয়ারা এবং সুনামগঞ্জ জেলার কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি সমতল কমছে। তবে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে।
এ সময়ে সিলেট,সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে। এসব জেলার নদীতে পানি প্রবাহ বিপদসীমার নিচে নেমে আসতে পারে। ব্রক্ষ্মপুত্র নদের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে ও যমুনা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে।
আগামী ৫ দিন পর্যন্ত ব্রক্ষ্মপুত্র নদ ও যমুনা নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত নদ-নদীসমূহ চিলমারী, ফুলছড়ি, বাহাদুরাবাদ ও জগন্নাথগঞ্জ স্টেশনে সতর্ক সীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
কেএন/টিকে