গত বছরের চেয়ে তুলনামুলক এবার কাঁচা চামড়ার দাম বেশি বলে দাবি করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার চামড়ার দাম বেশি। আধা পচা চামড়ার দাম কম হবে এটাই স্বাভাবিক। সোশ্যাল ও মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় চামড়ার দাম নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।’
রবিবার (৮ জুন) রাত ৮টার দিকে পুরান ঢাকার পোস্তা এলাকায় ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, ‘লবণবিহীন চামড়া কম নেওয়া হয়েছে। লবণযুক্ত চামড়া উপযুক্ত দাম দিয়ে কেনা হয়েছে।’
এ বছর কোরবানি ঈদের সময় রাজধানীতে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৬০-৬৫ টাকা আর ঢাকার বাইরে ৫৫-৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
কিন্তু মৌসুমি বিক্রেতাদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনছে না আড়তদাররা।
ঈদের দিন শনিবার রাজধানীর লালবাগের পোস্তায় প্রতিটি গরুর চামড়া আকারভেদে ৪০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর খাসির চামড়া বিক্রি হয়েছে প্রতিটি ১০ টাকায়। এতে হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ চামড়ার দাম গত বছর আরও বেশি ছিল।
এজন্য মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যকে দায়ী করছেন তারা।
রাজধানীর বাইরের চিত্রও ছিল অনেকটা একই রকম। এ দিন বিভিন্ন জেলায় গরুর চামড়া বেচাকেনা হয়েছে ৩০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায়। আর ছাগলের চামড়া আকার ভেদে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়।
রোববার ঈদের দ্বিতীয় দিন রাজধানীর পোস্তায় চামড়া বেচাকেনা নিয়ে কর্মচাঞ্চল্য ছিল তুলনামূলক কম।
এদিনও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়ার দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান। প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে অনেকেই আড়তদারদের সাথে বাকবিতণ্ডা জড়ান। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ৬০০ টাকায় কেনা চামড়া ৬০০ থেকে ৭০০ এর বেশি বলছে না আড়তদাররা।
টিএ/