বলিউডের দর্শক নন্দিত অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুত আত্মহত্যা করেননি। তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। প্ররোচিত করেছেন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। প্রয়াত অভিনেতার পরিবার এবং অনুরাগীদের এমনই দাবি ছিল। সুশান্তের বাবা, বোনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিনেত্রী রিয়া এবং তার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে আদালতে মামলা ওঠার পর তাদের জেল হেফাজত নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় এও শোনা গিয়েছিল, রিয়া নিয়মিত মাদক সরবরাহ করতেন সুশান্তকে। রিয়া বার বার বলার চেষ্টা করেছেন, তিনি কোনভাবে সুশান্তের মৃত্যুর ব্যাপারে জড়িত নন। তাকে মাদক সরবরাহ করার নেপথ্যেও তার হাত ছিল না।
দীর্ঘ পাঁচ বছর তদন্ত চলার পরে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেয়। তাতেও সিবিআই নিশ্চিত করেছে, আত্মহত্যাই করেছিলেন অভিনেতা। তদন্তে অন্য কোনো দিক উঠে আসেনি। একই সঙ্গে রিয়া এবং তার ভাইয়ের ওপর থেকে যাবতীয় চার্জশিট তুলে নেওয়া হয়। যদিও সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে কাজ কমতে থাকে রিয়ার। তিনি এরপর শুরু করেন ব্যবসা। এই মুহূর্তে প্রায় ৩৮ কোটি টাকার ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন দুই ভাই-বোন মিলে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রিয়া জানান, ওই ঘটনার পর অভিনয়ের প্রস্তাব আসা বন্ধ হতে থাকে তার। ভাই শৌভিক ক্ল্যাট পরীক্ষায় ৯৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে এমবিএ পড়ার জন্য ভর্তি হয়। তার মাস কয়েকের মধ্যে তিনি গ্রেফতার হন। যার ফলে কোনো বড় বহুজাতিক সংস্থা তাকে চাকরিতে নেয়নি। কারণ, তাকে ঘিরে এত বিতর্ক। তার পরেই দুই ভাই-বোন মিলে রেডিমেড পোশাকের ব্যবসা শুরু করেন। তাদের ব্র্যান্ডের অভিনবত্ব হল, টি-শার্টে মধ্যে থাকে কিছু না কিছু বিশেষ বার্তা। প্রায় সব ক’টিতে রয়েছে প্রতিবাদের ভাষা। যখন সুশান্ত-কাণ্ডে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, সেই সময় রিয়া একটি সোয়েট শার্ট পরে যান, যেটিতে পিতৃতন্ত্রকে পায়ের নীচে পিষে দেওয়ার কথা লেখা ছিল। ধীরে ধীরে সেই ব্যবসা বড় হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৩৮ কোটি টাকার বাজার মূল্য তাদের সংস্থার।
টিকে/টিএ