ইতালিতে ২৫ লাখ প্রবাসীর জন্য দুঃসংবাদ, বহুল প্রত্যাশিত গণভোট বাতিল

ইতালিতে মাত্র ৩০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির কারণে বাতিল হয়ে গেল বহুল প্রত্যাশিত গণভোট। এতে হতাশ প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আদালতের নির্দেশে দুই দিনব্যাপী এই গণভোটে নাগরিকত্ব আইনসহ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মত দেন ভোটাররা।

অভিবাসীদের নাগরিকত্বের আবেদনের সময়সীমা ১০ বছরের পরিবর্তে ৫ বছরে নামানোর প্রস্তাব, শ্রমিকদের কর্মসংস্থানে সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তির বিধানের লক্ষ্যে দেশটির আদালতের নির্দেশে গণভোটের আয়োজন করা হয়।

প্রবাসীদের বহুল প্রত্যাশিত এ গণভোট পর্যাপ্ত ভোটারের অনুপস্থিতির কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল হয়েছে। দেশটির নির্বাচনী আইন অনুযায়ী শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোটার ভোট দিলে সেই নির্বাচন বৈধ বলে গণ্য হয়। এ নির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র ৩০ দশমিক ৬ শতাংশ।

ইতালির কট্টর ডানপন্থি জর্জিয়া মেলোনি সরকার এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ছিল। চূড়ান্ত ফলাফলে ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৩০ দশমিক ৬ ভাগ হওয়ায় দেশটিতে বসবাসকারী প্রায় ২৫ লাখ বিদেশির ভাগ্যে দ্রুত নাগরিকত্ব লাভের ইচ্ছা অপূর্ণই থেকে গেল। বাংলাদেশিরা বলছেন, ডানপন্থি দলগুলোর বিদেশ বিরোধী প্রচারণায় এই দুঃখজনক ফল।

২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত ইতালির নাগরিকত্ব ও শ্রম অধিকার সম্পর্কিত গণভোটের ফল বাতিল হয়েছে শুধু তাই নয় ২২ সালে অনুষ্ঠিত বিচার বিভাগীয় সংস্কার সম্পর্কিত গণভোটও অনুরূপভাবে বাতিল হয়। এবারে শতকরা ৩০ ভাগ ভোট গ্রহণ হলেও ২০০২ সালে ছিল শতকরা ২০ দশমিক ৪ ভাগ।

ইতালির বামপন্থি ও মধ্যপন্থি রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং শীর্ষ স্থানীয় একটি শ্রমিক ইউনিয়ন সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই গণভোটের আয়োজনে রাজি করিয়েছিল।

প্রস্তাবের সমর্থকরা জানিয়েছিল, এই সংস্কার দেশটিতে বসবাসকারী প্রায় ২৫ লাখ বিদেশি নাগরিককে উপকৃত করবে এবং ইতালির নাগরিকত্ব আইনকে জার্মানি ও ফ্রান্সসহ অন্যান্য অনেক ইউরোপীয় দেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তুলবে। যদিও প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির শর্ত পূরণ না হওয়ায় গণভোটটি বৈধতা অর্জন করতে পারেনি।

আরআর/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
স্থগিতের শঙ্কায় ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ Nov 18, 2025
img

জিল্লুর রহমান

অপরাধের শাস্তি দরকার সেই বিষয়ে দেশের মানুষের মধ্যে কোনো দ্বিধা নেই Nov 18, 2025
img
পা হারানো মানুষদের জন্য ফুটবল টুর্নামেন্ট Nov 18, 2025
img
শেখ হাসিনার রায়ের কপি স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাবে আজ Nov 18, 2025
img
পারমাণবিক সক্ষমতার পথে সৌদি, পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র Nov 18, 2025
img
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’: শশী থারুর Nov 18, 2025
img
ছেলে দেখে না, অচেনা মানুষেরা খেতে দেয় যুবরাজের বাবাকে Nov 18, 2025
img
১৮ ডিসেম্বর মেহজাবীনের জবাব দাখিলের নির্দেশ আদালতের Nov 18, 2025
img
বুধবার ইসির সংলাপে আসছে বিএনপি ও জামায়াত Nov 18, 2025
img
সাভারে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কারখানায় লুটের চেষ্টার অভিযোগ Nov 18, 2025
img
মাদারীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মশাল মিছিল Nov 18, 2025
img
বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার উত্থান ও পতন Nov 18, 2025
img
শেখ হাসিনার রায়ের পর মীর কাসেম আলীর মেয়ের আবেগঘন দীর্ঘ স্ট্যাটাস Nov 18, 2025
img
দেড় বছরে এত সাফল্য অর্জন অন্তর্বর্তী সরকারের মতো কেউ করতে পারেনি: প্রেস সচিব Nov 18, 2025
img
সাবেক মন্ত্রী রেজাউল করিমের ভাই শামীম গ্রেপ্তার Nov 18, 2025
img
শেখ হাসিনার রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা কমে গেছে: আইসিজি Nov 18, 2025
img
মজলুমের দোয়া আজ কবুল হলো : শামারুহ মির্জা Nov 18, 2025
img
কারিগরি বোর্ড : ডুপ্লিকেট ভর্তি চিহ্নিতদের ভর্তি বাতিলের নির্দেশ Nov 18, 2025
img
কঙ্গোতে অবতরণের সময় বিমানে আগুন Nov 18, 2025
img
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা Nov 18, 2025