ঘরের মাঠে হারের পর বাছাইপর্বে টিকে থাকতে কোন সমীকরণে বাংলাদেশ?

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয়ের প্রত্যাশা নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। দলে একাধিক প্রবাসী খেলোয়াড়ের উপস্থিতি বাংলাদেশ ফুটবলে এনেছিল প্রত্যাশার নতুন জোয়ার। যদিও এমন বিপুল আগ্রহের ম্যাচে বাংলাদেশ হয়েছে হতাশ। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রায় ১৮ হাজার সমর্থকের সামনে বাংলাদেশ হেরেছে ২-১ গোলের ব্যবধানে।

এই হারের পরেও এএফসি বাছাইপর্বে ‘গ্রুপ-সি’ তে তৃতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ। হংকংয়ের কাছে ১-০ গোলে হারের পর ভারত চলে গিয়েছে গ্রুপের তলানিতে। ১ গোল করার সুবাদে বাংলাদেশ গোল ব্যবধান ও পয়েন্টে সমান থাকলেও গ্রুপে ভারতের ওপরেই আছে।

গ্রুপ-সি তে এখনও বাকি আছে ৪ ম্যাচ। বাংলাদেশের পরের মিশন হংকং। তবে ৪ ম্যাচ বাকি থাকলেও নিজেদের কর্ম পরিকল্পনা সাজাতে এখন থেকেই সমীকরণে চোখ রাখতে হচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবলকে। আর সেটা খুব একটা সহজ বার্তা দিচ্ছে না হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরাকে। বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচের জন্য সামনের দিনগুলোতে বেশ বড় একটা পরীক্ষা দিতে হচ্ছে সেটা নিশ্চিত।

২০২৭ এএফসি বাছাইপর্বের ম্যাচে এই মুহূর্তে সব দলেরই বাকি আছে ৪টি করে ম্যাচ। গ্রুপের শীর্ষে থাকা দলই এখান থেকে এএফসি কাপে যাবে। আপাতত সেই অবস্থান দখলে রেখেছে সিঙ্গাপুর। পূর্ব এশিয়ার দেশটি যদি বাকি সব ম্যাচেই জেতে তবে তাদের পয়েন্ট হবে ১৬। হংকংয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। অন্যদিকে বাংলাদেশ এই পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ অর্জন করতে পারবে ১৩ পয়েন্ট। ভারতেরও সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পয়েন্ট বাংলাদেশের সমান ১৩।

বাকি থাকা ৪ ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের সমীকরণ কেমন হবে, সেটা সবচেয়ে ভালো বোঝা যাবে অক্টোবরে। সেই উইন্ডতে পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুইবার হংকংয়ের মুখোমুখি হবেন হামজা-সামিতের বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ নিজেদের মাঠে, পরেরটি হংকংয়ে।

তবে আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশের সব ম্যাচেই জয় দরকার নিজেদের অতিরিক্ত জটিলতা থেকে এড়াতে। সেক্ষেত্রে অবশ্য সিঙ্গাপুর অ্যাওয়ে ম্যাচে পয়েন্ট খোয়াবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। তাদের সর্বোচ্চ পয়েন্ট তখন নেমে আসবে ১৩ তে। এদিকে বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুর দুই দলই ১৩ পয়েন্ট করে অর্জন করলে হিসেব হবে টাইব্রেকারের ভিত্তিতে।

টাইব্রেকারের নিয়ম অনুযায়ী, হেড-টু-হেডে পয়েন্ট দেখা হবে। সেখানেও সমতা (১টি করে জয়) থাকলে গোল ব্যবধান দেখা হবে। তাতেও যদি সমতা থাকে, তবে যারা বেশি গোল করেছে তারাই এগিয়ে থাকবে। 

এসএম/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের Jun 12, 2025
অল্প সময়ে সরকার যা করেছে, তা আগে কোনো সরকারের সময় হয়নি Jun 12, 2025
img
বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ভেঙে পড়ার ঘটনা এই প্রথম Jun 12, 2025
img
ভারতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জামায়াতের শোকবার্তা Jun 12, 2025
img
লন্ডনে স্বামীর কাছে যাওয়া হলো না খুশবুর Jun 12, 2025
img
আগামী ৫ দিনের মধ্যে দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে Jun 12, 2025
বাংলাদেশে শাকিব খানের নায়িকা নেই যে কারণে এই কথা বললেন দর্শক Jun 12, 2025
img
নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক মিরাজকে শুভকামনা জানালেন শান্ত Jun 12, 2025
img
৩০ মিনিটের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সর্বশেষ তথ্য দিলেন প্রেস সচিব Jun 12, 2025
img
আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন এক আরোহী Jun 12, 2025
img
সমু চৌধুরীর বর্তমান অবস্থা জানালেন রাশেদ মামুন অপু Jun 12, 2025
img
শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ, প্রথম বহরে পৌঁছালেন ১০ ক্রিকেটার Jun 12, 2025
রুশ পরমাণু সহায়তায় ইরান, কপালে ভাঁজ ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর Jun 12, 2025
img
মুহাম্মদ ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে সংশয় কেটে যাবে: ডা. জাহিদ হোসেন Jun 12, 2025
img
পটুয়াখালীতে ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ Jun 12, 2025
img
গরমে পুড়ছে রাজধানী ঢাকা, তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে Jun 12, 2025
img
বিমান দুর্ঘটনায় ‘গভীরভাবে মর্মাহত’ শাহরুখ Jun 12, 2025
img
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত আরও ১৫ জন Jun 12, 2025
img
আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল মেডিকেল কলেজের ৫ শিক্ষার্থীর Jun 12, 2025
এক পরিবারের ৫ ভাই হাসপাতালে, ঈদের আনন্দ বিষাদে রূপ নিলো! Jun 12, 2025