বলিউডে শাহরুখ খান, সলমন খান, আমির খান কিংবা হৃতিক রোশনের রাজত্ব তিন দশকের। অমিতাভ বচ্চন থেকে অক্ষয় কুমার—সবাই তাদের সময়ের সেরা। কিন্তু এক অসম্ভব রেকর্ড আজও যাকে স্পর্শ করতে পারেননি কেউ, তিনি দক্ষিণী সুপারস্টার মোহনলাল।
১৯৮৬ সাল, মাত্র ২৬ বছর বয়সে মোহনলাল অভিনয় করেছিলেন ৩৪টি ছবিতে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, তার মধ্যে ২৫টি ছবিই হয়েছিল সুপারহিট! সেই সময়েই তিনি হয়ে ওঠেন মালায়ালাম সিনেমার নিরঙ্কুশ রাজা।
যেখানে বলিউডের মহাতারকারা এক বছরে গড়ে ৫-৬টি হিট দিতে পারেন, সেখানে মোহনলালের এই কীর্তি নিঃসন্দেহে ইতিহাস। সময়ের সঙ্গে বদলেছে ইন্ডাস্ট্রি, বদলেছে দর্শকের রুচিও। তবুও ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ এই রেকর্ডের ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেননি।
কেবল অতীতেই নয়, বর্তমানে এসেও মোহনলাল সমানভাবে দাপট দেখিয়েছেন। ২০১৯ সালে 'লুসিফার' ছবিটি করেছিল রেকর্ড আয়। ২০২১ সালে ‘দৃশ্যম ২’ ছুঁয়ে ফেলে জনপ্রিয়তার শিখর। আর ২০২৫-এ তাঁর দুটো ছবি—‘এমপুরান’ ও ‘থুরাডুম’—উভয়ই ২০০ কোটির বেশি আয় করেছে। এমনকি সলমনের ‘সিকন্দর’ আর রাম চরণের ‘গেম চেঞ্জার’-কেও পিছনে ফেলেছে এই ছবিগুলো।
মোহনলাল শুধু একজন অভিনেতা নন, তিনি যেন নিজেই এক প্রতিষ্ঠান। অভিনয়ের দক্ষতা, পরিশ্রম আর দর্শকের ভালোবাসাকে পাথেয় করে তিনি গড়েছেন এমন এক চূড়ান্ত উচ্চতা, যা আজও স্বপ্নই রয়ে গেছে বাকিদের কাছে।
তাঁর নামের পাশে এখনও লেখা যায়—‘এক্সেলেন্স’-এর প্রকৃত প্রতীক।
এসএন