যেখানে বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ আমির খান সম্প্রতি উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন, অভিনেত্রীদের ‘আইটেম গার্ল’ হিসেবে নামিয়ে আনা হচ্ছে, সেখানেই দক্ষিণী পরিচালক তেজা একেবারে উল্টো কথা বললেন— এবং বললেন তথ্যের ভিত্তিতে, আবেগ দিয়ে নয়।
তেজা সাফ জানালেন, “এটা বলিউডের সমস্যা, দক্ষিণ ভারতের নয়। সম্ভবত আমির সাহেব বলিউডের পরিস্থিতি মাথায় রেখেই কথা বলেছেন। আমাদের এখানে—বিশেষ করে তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতে—অভিনেত্রীদের সম্মান করা হয়, কোণঠাসা করা হয় না।”
তাঁর দাবি, দক্ষিণী সিনেমা নারীকেন্দ্রিক গল্প বলার দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। শুধু গ্ল্যামার-নির্ভর অতিথি চরিত্র নয়, আজকের চিত্রনাট্য লেখা হচ্ছে শক্তিশালী নারী চরিত্রদের ঘিরে।
তেজা উদাহরণ দেন রশ্মিকা মান্দান্না, বিজয়া শান্তি, অনুষ্কা শেঠি ও নায়নতারার মতো অভিনেত্রীদের—যারা কেবল চরিত্রের ভিতরেই থাকেন না, তাঁদের নিজস্ব ফ্যানবেসও আছে। “এখন দক্ষিণে সুপারস্টার মানেই শুধু পুরুষ নয়, এই নারীরাও আইকন হয়ে উঠেছেন,” বলেন তিনি।
তেজা মনে করেন, শুধু সিনেমা নয়, ওয়েব সিরিজ বা OTT প্ল্যাটফর্মেও এই নারীরা দাপটের সঙ্গে অভিনয় করছেন। “আজকের দর্শক অনেক বেশি সচেতন। পুরুষকেন্দ্রিক একতরফা গল্প এখন আর চলে না। ভবিষ্যৎ হল ভারসাম্যপূর্ণ গল্প।”
তিনি আরও যোগ করেন, “রজনীকান্তের 'রোবো'-তে ঐশ্বর্য রাই, ‘বাহুবলী’-তে অনুষ্কা, কিংবা 'আত্তারিন্টিকি দারেদি'-তে নাদিয়ার মতো চরিত্রেরা সিনেমায় সমান্তরাল গুরুত্ব পেয়েছে। এখন নির্মাতাদেরও সেই পথেই হাঁটতে হবে।”
শেষ কথায় তেজা বলেন, “যদি সিনেমা আজকের নারীদের শক্তি, আত্মবিশ্বাস আর বাস্তবতাকে তুলে না ধরে—তবে তা আজকের দর্শকের কাছে আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না।”
বলিউডের চেনা ছক থেকে দক্ষিণের ভাঙা ছক—এই বিতর্কে তেজার বক্তব্য এখন ইন্ডাস্ট্রির আলোচনার কেন্দ্রে।
এসএন