দুই মাস আগে কলকতার ঠাকুরপুকুরে মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে ৬ জনকে চাপা দেওয়ার ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। এ ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়। ওপার বাংলার ছোটপর্দার পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস ভিক্টো গাড়িচাপা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন। এখনও কারাগারে রয়েছেন ভিক্টো।
পুলিশ সূত্রের খবর , এই মাসেই ভিক্টোর বিরুদ্ধে খুন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে আলিপুর আদালতে চার্জশিট পেশ করতে পারে পুলিশ। সে রীতিমতো সজ্ঞানে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে খুন ও খুনের চেষ্টা করেছে, এমন তথ্যও চার্জশিটে উল্লেখ করা হতে পারে।
এদিকে সেই রাতে ভিক্টোর গাড়িতে থাকা দুই অভিনেত্রী ও তার দুই বান্ধবী ঋ ও শ্রিয়া ভিক্টোর বিরুদ্ধে বয়ান দিয়েছেন। তারা জানান, যখন প্রথমবারের জন্য ধাক্কা দিয়ে ভিক্টো গাড়ি থামিয়ে দেয়, তখনই তারা দুজনই তাকে থেমে যেতে বলেছিলেন।
তারা রীতিমতো ভয় পেয়েই ভিক্টোকে বলেছিলেন, ‘আর গাড়ি চালাস না। এখানেই থামিয়ে দে।’
পুলিশের কাছে ঋ ও শ্রিয়ার দাবি , তারা গাড়ির ভিতরে বসেই চিৎকার করে ভিক্টোকে বাজারের মধ্যে গাড়ি চালাতে বারণ করেন। কিন্তু ভিক্টো কর্ণপাত করেনি।
ভিক্টো বান্ধবীদের বলে, ঠাকুরপুকুর বাজার তার নিজের এলাকা। এই বাজারের ভিতর সে নিজের ইচ্ছামতো বেপরোয়াভাবেই গাড়ি চালায়। তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। যা ইচ্ছা সে করতে পারে। দুই বান্ধবীর কাছে এই দাবি তুলে সে ফের গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয়।
দ্বিতীয়বার গাড়ির গতি বাড়িয়ে সে দুজনকে ধাক্কা দেয়। তাদের আহত হতে দেখে ফের দুই বান্ধবী ভিক্টোকে গাড়ি চালাতে বারণ করেন। কিন্তু সেই অনুরোধে কান না দিয়ে ফের আরও জোরে গাড়ি চালানো শুরু করে সে।
পুলিশের দাবি , এভাবে অন্তত পাঁচবার গতি বাড়িয়ে ধাক্কা দেওয়ার পর এক পথচারীকে ধাক্কা দেয়, যিনি তার গাড়ির তলায় ঢুকে যান। অভিযোগ, জেনেশুনে তোয়াক্কা না করেই ওই পথচারীকে হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে প্রায় ৩০ মিটার নিয়ে যায় সিদ্ধান্ত দাস ওরফে ভিক্টোর গাড়ি। শেষ পর্যন্ত একটি স্কুটিকে ধাক্কা দেওয়ার পর সেই স্কুটি গাড়ির চাকার তলায় ঢুকে গেলে সেটি থেমে যায়। না হলে ভিক্টোর গাড়ির ধাক্কায় আরও কয়েকজন পথচারী আহত হতে পারতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কেএন/এসএন