বলিউড সুপারস্টার আমির খানের নতুন ছবি সিতারে জমিন পার মুক্তির অপেক্ষায়। আগামী ২০ জুন মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবিটি। এরই মাঝে দর্শকদের উদ্দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন আমির খান— “চুরি নয়, হলে গিয়ে ছবি দেখুন।” তার বক্তব্য, পাইরেসি মানে চুরি। এটি শুধু একজন প্রযোজকের আয় নয়, একটি সিনেমার সঙ্গে জড়িত শত শত মানুষের শ্রম, আবেগ ও আত্মনিবেদনকে অবজ্ঞা করার শামিল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমির খান বলেন, “আপনি যদি একটি টেলিভিশন চুরি না করেন, তাহলে কোনো সিনেমার পাইরেটেড কপি দেখা কীভাবে ঠিক হতে পারে? এটি তো একই রকম চুরি।” তিনি মনে করেন, যারা সিনেমার জন্য বছরের পর বছর খেটে যান, সেইসব শিল্পীদের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখে।
সিতারে জমিন পার ছবিটিতে আমির খানের সঙ্গে আছেন অভিনেত্রী জেনেলিয়া ডি’সুজা। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন দশজন ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত তরুণ-তরুণী, যারা এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার পর্দায় আসছেন। ছবিটি একটি স্পোর্টস-ড্রামা, যা ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তারে জমিন পার ছবির আত্মিক উত্তরসূরি বলেই ধরা হচ্ছে। ছবির মূল ভাবনা নেওয়া হয়েছে স্পেনের প্রশংসিত চলচ্চিত্র চ্যাম্পিয়নস থেকে।
এই সিনেমার প্রতিটি দৃশ্যের পেছনে রয়েছে বিশেষ একটি উদ্দেশ্য— সমাজে সহমিলন, আত্মসম্মান ও বদলের বার্তা পৌঁছে দেওয়া। আমির বলেন, “এই দশজন তরুণ-তরুণীর সাহস আর অধ্যবসায়ের কোনো মূল্যই থাকবে না যদি আমরা এই ছবি চুরি করে দেখি।”
পাইরেসি রুখতে আমির খানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান একটি বিশেষ সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে, যারা ছবির মুক্তির পরে যেন কোনো ধরনের ফাঁস বা অবৈধভাবে শেয়ার না হয়, তা নিশ্চিত করবে। এর আগে সিকান্দার সিনেমা মুক্তির আগেই অনলাইনে লিক হয়ে যাওয়ায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছিল প্রযোজকরা। তাই এবার আগে থেকেই তৈরি আমির ও তার টিম।
এই সিনেমা তৈরি হয়েছে সিনেমা হলের বড় পর্দার জন্য, অনলাইনে চুরি করে দেখার জন্য নয়। আমিরের এই আবেদন শুধুমাত্র আয় বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নয়, এটি একটি নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে উঠে আসা কথা।
তার বক্তব্য, “যদি আপনি একটি টেলিভিশন চুরি না করেন, তবে একটি ছবি চুরি করে দেখবেন কেন?” আমির চান সবাই হলে গিয়ে সিতারে জমিন পার দেখুক— কারণ এটি শুধু একটি ছবি নয়, এটি একটি বার্তা, একটি সংগ্রাম, এবং একদল সাহসী তরুণ-তরুণীর স্বপ্ন।
এসএম/টিকে