'গামছা পরে বটগাছের নিচে শুয়েছিলাম, উঠে দেখি সারা বাংলাদেশে সেই ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে'

নব্বই দশকের নাটকের বহুল পরিচিত মুখ সমু চৌধুরী। ওই সময় টিভি নাটকে অভিনয়গুণে দর্শক মাতালেও মাঝে কিছু সময় অভিমানে অভিনয় থেকে দূরে সরে যান এই অভিনেতা। বছর তিনেক পর্দায় দেখা যায়নি তাকে। পরে শিল্পী ঐক্য জোটের মাধ্যমে ফের অভিনয়ে ফিরেন। তারপর থেকে আবার নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে হঠাৎ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয় সমু চৌধুরীর। ভিডিওতে দেখা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মুখী শাহ্ মিসকিন মাজারের কাছে একটি রাস্তার পাশে গাছের নিচে খালি গায়ে নিঃসঙ্গভাবে শুয়ে আছেন তিনি।

অভিনেতার এ দৃশ্যের ছবি ও ভিডিওগুলো অল্পক্ষণের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে। যা দেখে তার ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা রীতিমত হতবাক হয়ে যান এবং নানা ধরনের মন্তব্য করতে থাকেন। পরে স্থানীয় থানা পুলিশ এগিয়ে আসে তাকে উদ্ধারের জন্য।

এ নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে নানা আলোচনা ও চর্চা শুরু হয়। যা দৃষ্টি এড়ায়নি সমু চৌধুরীর। এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমি এখানে এক কাপড়ে এসেছি। কাপড় ধুয়ে দেওয়ার পর আমার কাছে অন্য কোনো পোশাক ছিল না। এ জন্য গামছা পরে বটগাছের নিচে শুয়েছিলাম। উঠে দেখি সারা বাংলাদেশে সেই ছবি-ভিডিও ভাইরাল।



সমু বলেন, পুলিশ এসে নিয়ে গেছে, আমাকে নাকি ঢাকায় পাঠাবে। পরে তাদের সঙ্গে কথা বলি। তারা বুঝতে পারলেন, সবই ঠিক আছে। তবে এত অল্প সময়ে আমার প্রতি যারা ভালোবাসা দেখিয়েছেন, খোঁজ-খবর নিয়েছেন―তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

এর আগে এ ব্যাপারে অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু বলেন, সমুদাকে মুখী শাহ্ মিসকিন মাজার সংলগ্ন একটি গাছের নিচে দেখা গেছে, এ ধরনের খবর পাওয়ার পর আমরা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করি। সেখানে আমার লোক রয়েছে। তাদের সহযোগিতায় নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে তাকে।

প্রসঙ্গত, মঞ্চ, টেলিভিশন ও সিনেমার বহুল পরিচিত মুখ অভিনেতা সমু চৌধুরী। ১৯৯০ সালের ২২ মার্চ বিটিভিতে তার অভিনীত প্রথম টিভি নাটক ‘সমৃদ্ধ অসীম প্রচার হয়। আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় এতে অভিনয় করে ২৭ টাকা সম্মানি পেয়েছিলেন। বিপুলসংখ্যক নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৯৫ সালে পরিচালক আমজাদ হোসেনের হাত ধরে ‘আদরের সন্তান’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার।

আরআর/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তেহরানের মিসাইল হামলায় এক ইসরায়েলি নিহত Jun 14, 2025
img
দিনাজপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ৫ জনের Jun 14, 2025
img
ইরানের হামলায় ইসরায়েলে আহত অন্তত ৪১ জন Jun 14, 2025
img
পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দলে নেই, নিজেকে প্রমাণ করতে বিগব্যাশে বাবর আজম Jun 14, 2025
img
নির্বাচন যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে, সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী Jun 14, 2025
img
বগুড়ায় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল বন্ধু্র Jun 14, 2025
img
তেহরানের মিসাইল সরাসরি আঘাত হানল ইসরায়েলের একাধিক ভবনে Jun 14, 2025
img
রাজধানী তেহরানে ফের একাধিক বিস্ফোরণ Jun 14, 2025
img
এশিয়া কাপের আগে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করতে চায় পাকিস্তান Jun 14, 2025
img
রাজবাড়ীতে এক পাঙাশ মাছের দাম সাড়ে ৩৫ হাজার টাকা Jun 14, 2025
img
ফের মিসাইল হামলা ইরানের, আঘাত হানল ইসরায়েলে Jun 14, 2025
img
ইরানের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত, ফলাফল হবে সুদূরপ্রসারী : লিন জিয়ান Jun 14, 2025
img
একক হিসেবে সাইফুজ্জামানের সম্পত্তি জব্দ এনসিএ’র সবচেয়ে বড় ঘটনা: প্রেস সচিব Jun 14, 2025
img
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান ও সুপ্রিম নেতা খামেনিকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরায়েল Jun 14, 2025
img
মার্করামের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, ইতিহাস গড়তে প্রোটিয়াদের দরকার আর ৬৯ রান Jun 14, 2025
img
শাকিবকে নিয়ে কিছু বলতেই ভয় হয় : অপু বিশ্বাস Jun 14, 2025
img
সংলাপ যেন শুধুই নির্বাচনমুখী ‘সমঝোতার ফাঁদ’ না হয়: হাসনাত Jun 14, 2025
img
ইরানে ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ গেল ৭৮ জনের, আহত ৩২০ Jun 14, 2025
img
ইরানে ফের হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল Jun 14, 2025
img
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ‘শুরু হয়ে গেছে’ জানাল রাশিয়ার জেনারেল Jun 14, 2025