সান্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার 'স্পিরিট' থেকে সরে দাঁড়িয়ে আতলির পরিচালনায় আল্লু অর্জুনের নতুন ছবিতে যুক্ত হয়ে দীপিকা পাড়ুকোন যেন নিজের অভিনয়জীবনের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সাফল্যের পথে এগিয়ে গেলেন। সদ্য মা হওয়ার পর কাজের সময় কমানোর এবং ২৫ কোটি টাকার পারিশ্রমিকের সঙ্গে লাভের অংশীদারিত্বের শর্ত রাখায় তিনি 'স্পিরিট' ছবিটি ছেড়ে দেন। এতে ইন্ডাস্ট্রির কাজের সংস্কৃতি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়, এবং ভাঙ্গা নাম না করে দীপিকাকে তীব্র আক্রমণ করেন।
তবে দীপিকা চুপ থাকেননি। বরং তিনি আতলি পরিচালিত আল্লু অর্জুনের পরবর্তী ছবিতে প্রধান ভূমিকায় যুক্ত হয়ে প্রমাণ করলেন, তিনি কেবল অভিনয়শিল্পীই নন, বরং এক দৃঢ়চেতা ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তগ্রহণকারীও।
এই চুক্তি অনুযায়ী দীপিকা পাচ্ছেন ২৫ কোটি টাকা নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক, সঙ্গে থাকছে মোট মুনাফার ১০ শতাংশ অংশীদারিত্ব। যদি এই ছবি ৫০০ কোটি টাকার মুনাফা করতে পারে, তাহলে দীপিকার আয় দাঁড়াবে ৭৫ কোটি টাকায়। এই রেকর্ড তাকে ভারতের চলচ্চিত্র ইতিহাসে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রীতে পরিণত করতে পারে। এতে তিনি ছাপিয়ে যাবেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকেও, যিনি রাজামৌলির একটি ছবিতে ৩০ কোটি টাকা নিয়েছিলেন।
এই সিদ্ধান্ত শুধু টাকার হিসাব নয়, বরং তা একটি স্পষ্ট বার্তা — নারী শিল্পীরাও পিছিয়ে নেই, তারাও শীর্ষ পুরুষ তারকাদের মতোই ব্যাকএন্ড লাভ দাবি করতে পারেন। দীপিকা যেন শুধু সমান পারিশ্রমিক নয়, বরং বলিউডের পুরনো শর্তগুলোকেই বদলে দিতে চলেছেন।
যদি এই ছবি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়, তাহলে দীপিকা কেবল আয়ের দিকেই নয়, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং আলোচনার টেবিলেও সবচেয়ে প্রভাবশালী নাম হয়ে উঠবেন।
এফপি