বলিউডে আত্মপ্রকাশেই নজির গড়লেন পাঞ্জাবি চলচ্চিত্রের তারকা সোনম বাজওয়া। কেবল গ্ল্যামার নয়, চরিত্র নির্বাচনের বিচক্ষণতা এবং অভিনয়ের গভীরতায় বলিউডে নিজের জায়গা পাকা করে নিচ্ছেন তিনি। নিজের প্রথম বছরে চারটি একেবারে ভিন্ন ঘরানার ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে দেখিয়ে দিলেন, তিনি কেবল নতুন মুখ নন — বরং বহুমাত্রিক অভিনয়শক্তির এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
হাস্যরসাত্মক ছবি ‘হাউসফুল ৫’-এ আত্মবিশ্বাসী পারফরম্যান্স দিয়ে দর্শকের মন জয় করেন সোনম। মুহূর্তে খাঁটি উর্দু থেকে দেশি পাঞ্জাবি রূপে বদলে যাওয়ার মাধ্যমে ভাষা ও কমিক টাইমিংয়ের দিক থেকে নিজের দক্ষতা তুলে ধরেন।
এরপর ‘বাগি ৪’-এ টাইগার শ্রফের বিপরীতে এক সাহসী ও আগ্রাসী চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তীব্র অ্যাকশন দৃশ্যগুলোয় শরীরী ভাষা ও তীক্ষ্ণ উপস্থিতি দিয়ে প্রমাণ করেন, রোমান্স নয়, অ্যাকশন ঘরানাতেও তিনি সমান পারদর্শী।
‘দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়ত’ ছবিতে হর্ষবর্ধন রানের সঙ্গে এক আবেগঘন প্রেমকাহিনিতে কাজ করেন সোনম। সেখানে তার অভিনয় ছিল সংবেদনশীল ও মর্মস্পর্শী — চরিত্রের সূক্ষ্ম আবেগ ও দ্বিধাগুলো তিনি দারুণভাবে প্রকাশ করেন।
সবশেষে, ‘বর্ডার ২’ ছবিতে দিলজিৎ দোসাঞ্জের বিপরীতে একজন দেশপ্রেমী পাঞ্জাবি নারীর ভূমিকায় নজর কেড়েছেন সোনম বাজওয়া। সেখানে তিনি তুলে ধরেছেন মাটির গন্ধ, আত্মত্যাগ ও জাতীয়তাবোধের সংমিশ্রণ।
এক বছরে চারটি প্রধান ছবিতে চারটি আলাদা ঘরানায় কাজ করায় বলিউডে তার পদচারণা হয়েছে একেবারেই ব্যতিক্রমধর্মী। তিনি কোনও নির্দিষ্ট ধারা অনুসরণ করছেন না — বরং নিজেই গড়ে তুলছেন নতুন ধারা। অভিনয়, পর্দা উপস্থিতি ও ভাষাজ্ঞান — প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।
এই আত্মপ্রকাশ শুধুই বলিউডে প্রবেশ নয়, এটি এক দৃঢ় বার্তা: নতুন যুগের অভিনেত্রী কেমন হওয়া উচিত, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন সোনম বাজওয়া। তার ভবিষ্যৎ যে আরও উজ্জ্বল হতে চলেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরআর