আ.লীগ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াত নেতার মাংস বিতরণের ছবি,নতুন বিতর্কের সৃষ্টি

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির মাংস বিতরণ করতে গিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। বসুরহাট পৌর জামায়াতের আমির মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে বসুরহাট পৌর আওয়ামী লীগের ৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ লিটনকে সঙ্গে নিয়ে মাংস বিতরণের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয়েছে সমালোচনা।

ছবিতে দেখা যায়, বসুরহাট পৌর জামায়াতের আমির মোশাররফ হোসেনের নিজ হাতে ব্যাগ থেকে মাংস তুলে দিচ্ছেন, আর তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ লিটন। ঘটনার পরপরই স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় গুঞ্জন।

কেউ বলছেন, এটি আদর্শের পরাজয়। আবার কেউ বলছেন এটি স্থানীয় রাজনৈতিক সুবিধাবাদের নগ্ন প্রকাশ। স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছেন, একজন দায়িত্বশীল পদে থাকা নেতা কীভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখতে পারেন খতিয়ে দেখা উচিত।

বসুরহাট পৌর বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আওয়ামী লীগ ও জামায়াত ইসলাম দুই মেরুর রাজনৈতিক দল। সেখানে জামায়াতের আমির আওয়ামী লীগের এক সাধারণ সম্পাদককে সঙ্গে নিয়ে মাংস বিতরণ করছেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আওয়ামী লীগ নেতা কি তাহলে জামায়াতে যোগদান করল? এটা ক্লিয়ার করা জরুরি।

মোহাম্মদ লিটন এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মাংস বিতরণ করছিলাম সেখানে জামায়াতের আমির অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি আমি একই সমাজের লোক। তিনি সম্মানিত মানুষ। আমি বাজারের ব্যবসায়ী। বিভিন্ন মাদরাসা-মসজিদে আমি সব সময় সহযোগিতা করি। ৫ আগস্টের পরও আমি এলাকায় আছি। এলাকার কেউ বলতে পারবে না আমি কারো ক্ষতি করেছি। কিন্তু আমাকে এবং জামায়াতের আমির মোশাররফ ভাইকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক শ্রেণির মানুষ উঠে পড়ে লেগেছে।

বসুরহাট পৌর জামায়াতের আমির মোশাররফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, কেউ ভালো কাজ করলে আমরা তার ভালো কাজের উৎসাহ দেই। মাংস বিতরণে খতিব মাওলানা জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। আমিও তাতে শরীক হয়েছি। এটা একটি সামাজিক কাজ। কোনো রাজনৈতিক কাজ নয়। কিন্তু কেউ কেউ আমাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এই ছবি নিয়ে লেখালেখি করছে। আমি তীব্র নিন্দা জানাই।

এফপি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ঢাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস, কমতে পারে গরম Jun 16, 2025
img
কখনও কখনও যুদ্ধের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হয় : ট্রাম্প Jun 16, 2025
img
দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে দুবাই, ঢাকা ২৩তম Jun 16, 2025
img
এরদোয়ানের সঙ্গে ছবি নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে যা জানালেন আমির খান Jun 16, 2025
img
সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ করায় ১৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা Jun 16, 2025
img
চলতি বছর থেকেই চালু হতে পারে রূপপুরের প্রথম ইউনিট Jun 16, 2025
img
ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধি দল Jun 16, 2025
img
বিএনপি দুর্বল নয়, এই দল পুলিশের ভোটে সরকার গঠন করতে চায় না: জি কে গউছ Jun 16, 2025
img
মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে নিয়ে এনসিপির শোকবার্তা Jun 16, 2025
img
ইসরায়েলের দিকে ছুটে যাচ্ছে ইরানের মিসাইল Jun 16, 2025
img
বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে ইরানের ফোর্দো পরমাণু কেন্দ্রে Jun 16, 2025
img
‘দখলকৃত অঞ্চল ছাড়ো, এগুলো বাসযোগ্য থাকবে না’ Jun 16, 2025
img
ইরানে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ Jun 16, 2025
img
পিএসজির কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত অ্যাতলেটিকো Jun 16, 2025
img
আরও বেদনাদায়ক জবাব অপেক্ষা করছে : ইরানের প্রেসিডেন্ট Jun 16, 2025
img
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ৫০ টি ক্ষেপণাস্ত্র চালাল ইরান Jun 16, 2025
img
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অস্বীকৃতি জানাল ইরান Jun 16, 2025
img
গোয়েন্দা প্রধানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল ইরান Jun 16, 2025
img
‘নিজেদের ছাড়া কাউকে ভরসা করা যাবে না’ Jun 16, 2025
img
‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান’ Jun 16, 2025